ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নানা আয়োজনে বাংলা একাডেমির বর্ষবরণ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৩
নানা আয়োজনে বাংলা একাডেমির বর্ষবরণ 

ঢাকা: আজ বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ এর বৈশাখ মাসের প্রথম দিন৷ এ উপলক্ষে বর্ষবরণ উৎসবের পাশাপাশি বইয়ের আড়ং এবং বৈশাখী মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেছে বাংলা একাডেমি।  

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮ টায় একাডেমির রবীন্দ্র-চত্বরে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এক নববর্ষ বক্তৃতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শিল্পী মহাদেব ঘোষের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রবি-রশ্মি’-এর শিল্পীদের পরিবেশনায় জাতীয় সংগীত এবং বর্ষবরণের রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলগীতির মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন।

এরপর বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা রচিত ‘মঙ্গলপ্রভাতে যাত্রা’ কবিতা পাঠ করেন বাচিকশিল্পী এবং বাংলা একাডেমির পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু।

অনুষ্ঠানে স্বাগত দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি বলেন, নববর্ষ আমাদের বাঙালির জাতিত্বজ্ঞাপক উৎসব। সংস্কৃতির শক্তিতে আমরা রাজনৈতিক মহাযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেছি। স্বাধীনতাকে সকল মানুষের জন্য অর্থবহ করতে সাংস্কৃতিক জাগরণ প্রয়োজন, নববর্ষ উৎসব যে জাগরণের অন্যতম বীজবিন্দু।

বাংলা বর্ষবরণে বৈশাখী মেলা নিয়ে বক্তব্য দেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহীর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ আবদুল জলিল। তিনি বলেন, অনাদিকালের বর্ষপরিক্রমায় বাংলার অন্যতম মাস বৈশাখ। এই মাসের বহুমাত্রিক পরিচয় বাংলার লোককবিদের মানসলোকে, ইতিহাসের সোনালি পাতায়, উৎসবের অলিন্দে, নান্দনিকতার গৌরবে শুধু অপূর্ব নয়; অসামান্য।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর। আবুল মনসুর বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে বাংলা নববর্ষ উৎসব অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক পর্ব। আমরা রাজনৈতিক সংগ্রামের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার স্বর্ণদুয়ারে পৌঁছেছি। নববর্ষ উৎসব স্বাধীন বাংলাদেশের এবং বিশ্ববাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। নববর্ষ উৎসবের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের শেকড়ের সন্ধান করি এবং বৈশাখের পথ বেয়ে আলোকিত আগামীর পানে যাত্রা করি।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সচিব কবি আসাদুল্লাহ্। কবি আসাদুল্লাহ্ বলেন, বাংলা নববর্ষ ১৪৩০-এ আমাদের প্রত্যয় হোক- অন্ধকার থেকে আলোক-অভিমুখে সোচ্চার অভিযাত্রা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

তিনি বলেন, বাঙালি তার নববর্ষ উৎসবকে শত শত বছর ধরে নানা বৈশিষ্ট্যে ও বৈচিত্র্যে উদযাপন করে আসছে। এ উৎসব আমাদের বাঙালিত্ব ও জাতিসত্তার চেতনাকে পুষ্ট করে চলেছে। বাঙালির সৌন্দর্যবোধ, স্বকীয়তা ও সংগ্রামের উপাদানে সমৃদ্ধ বাংলা নববর্ষ উৎসব বাঙালিত্বের বিকাশকে অব্যাহত রেখেছে।

শিল্পী মানিক রহমানের পরিচালনায় বাংলা একাডেমির শিল্পীদের অংশগ্রহণে বর্ষবরণের সমকালীন সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। পুরোঅনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ।  

এছাড়া, বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমির উদ্যোগে একাডেমি প্রাঙ্গণে বিভিন্ন ছাড়ে বইয়ের আড়ং চলমান রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং বাংলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ২৮শে চৈত্র ১৪২৯ থেকে ৭ই বৈশাখ ১৪৩০ (১১-২০শে এপ্রিল ২০২৩) পর্যন্ত বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বৈশাখী মেলা আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২৩
এমকে/এসআইএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।