ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পলি অপসারণ-নদী খননে স্বচ্ছতা দাবি ১৩ নাগরিকের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
পলি অপসারণ-নদী খননে স্বচ্ছতা দাবি ১৩ নাগরিকের -ফাইল ছবি

ঢাকা: অভ্যন্তরীণ নৌপথে সারাবছর নৌ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত পলি অপসারণে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার ১৩ জন নাগরিক। বিলুপ্ত নদী ও নৌপথ উদ্ধারে চলমান নদী খনন প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং রাষ্ট্রীয় তহবিলের শত শত কোটি টাকা অপচয় বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

বুধবার (১৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি তারা এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, নৌপথের নিয়মিত পলি অপসারণের জন্য সরকার প্রতি বছর বিআইডব্লিউটিএকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে। অথচ নাব্যতা সংকটের কারণে ঢাকা-বরিশালসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নৌপথে যাত্রী ও পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে কয়েকজন লঞ্চমালিক ইতোমধ্যে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এছাড়া ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে আরও অনেক নৌযান মালিক ব্যবসা বন্ধ করার চিন্তাভাবনা করছেন।

বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিলুপ্ত নদী ও নৌপথ পুনরুদ্ধারে বড় নদীগুলো খননের জন্য একাধিক মেগাপ্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত সাফল্য আসেনি। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ৪ হাজার ৩৭১ কোটি টাকার ‘পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই ও পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার’ প্রকল্প অনুমোদন করে। বরাদ্দের ৭০ শতাংশ টাকা ইতোমধ্যে ব্যয় দেখানো হলেও দীর্ঘ চার বছরে প্রকল্পের কাজ মাত্র ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।    

বিভিন্ন পেশার এই ১৩ নাগরিক অভিযোগ করেন, উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও সংরক্ষণখাতের অধীনে মেইনটেনান্স ড্রেজিং (নিয়মিত পলি অপসারণ) এবং মেগাপ্রকল্পের মাধ্যমে নদী খনন কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি না থাকায় জনগণের টাকা অপচয় হচ্ছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে পলি অপসারণ ও নদী খনন প্রকল্পের তথ্য-উপাত্ত নিয়মিত গণমাধ্যমে প্রকাশের জোর দাবি জানান তারা।

বিবৃতিদাতারা হলেন- পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট পরিবেশবিদ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক, কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট শিশুসংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিতরঞ্জন দে, বেগমবাজার-মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, জ্যেষ্ঠ নৌ প্রকৌশলী মো. আবদুল হামিদ, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম, প্রভারটি ইমুলিনেশন অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ, পুরনো ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন ও জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
টিএ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।