ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস উদ্বোধন ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস উদ্বোধন করছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো। ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: অপেক্ষার পালা শেষ। ফুটবলে বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ সমর্থন ও ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানিয়ে এবং পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশে আবারও দূতাবাস উদ্বোধন করলো আর্জেন্টিনা।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো এ দূতাবাসের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আজকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে আজ তাদের দূতাবাস চালু করলো। দুই দেশের জন্যই এটি আনন্দের। পুনরায় বাংলাদেশে দূতাবাস চালু করার জন্য আমি আর্জেন্টিনা সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং আমি আন্তরিকভাবে একত্রে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বকাপ জয়ের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট এবং সে দেশের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। সে সময় থেকেই ইঙ্গিত ছিল, আশা ছিল, যে আমরা একসঙ্গে কাজ করব এবং পুনরায় দূতাবাস চালু হবে। আপনারা যেমনটি কল্পনা করেন, এই বছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশ আইএমএফের সূচকে ভালো অবস্থান করে নিয়েছে, যা আর্জেন্টিনাকে এই দেশে দূতাবাস খুলতে আরও আগ্রহী করে তোলে।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো বলেন, আজ এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি বাংলাদেশ এবং দেশের মানুষকে অভিনন্দন জানাই। আশা করি, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও তাদের সমর্থন আর্জেন্টির প্রতি অব্যাহত থাকবে।

প্রসঙ্গত, কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালেই আর্জেন্টিনা ঘোষণা দিয়েছিল, ঢাকায় আবার দূতাবাস খুলবে দেশটি। সে কথা রাখতেই আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার সকালে ঢাকায় আসেন।

বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার কোনো দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিস ছিল না। দিল্লির আর্জেন্টিনার দূতাবাস থেকেই ঢাকার সঙ্গে দেশটি সম্পর্ক বজায় রাখে। একইভাবে আর্জেন্টিনায়ও বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিস নেই।

এক সময়ে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার একটি কূটনৈতিক মিশন ছিল। ১৯৭৪ সালে ঢাকায় আর্জেন্টিনার মিশন খোলা হয়। তবে ১৯৭৮ সালে সে মিশনটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে দিল্লির আর্জেন্টিনার দূতাবাস থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে দেশটি। আর ১৯৯২ সালে সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং দূতবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি ঢাকা সফরকালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

তিনদিনের সফর শেষে আগামী ১ মার্চ ঢাকা থেকে বিদায় নেবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এমকে/টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।