ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উদ্বোধনের অপেক্ষায় ‘দেশসেরা’ বাস টার্মিনাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
উদ্বোধনের অপেক্ষায় ‘দেশসেরা’ বাস টার্মিনাল

সিলেট: পর্যটন নগরী সিলেটে দেশের সর্বাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন কদমতলী বাস টার্মিনাল শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট সফরকালে এই বাস টার্মিনালসহ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করবে দেশের সর্বাধুনিক কদমতলী বাস টার্মিনাল।

বর্তমানে কদমতলী বাস টার্মিনালকে ধীরে ধীরে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষে আধুনিক বাস টার্মিনালটির সুযোগ-সুবিধাসমূহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। যাতে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা এবং যাত্রী সাধারণ তাদের সেবাসমূহ যথাযথভাবে আদান-প্রদান করতে পারেন।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু যাত্রীবাহী পরিবহন সজ্জিত করে টার্মিনালে প্রবেশ করানো হয় এবং যাত্রী নামিয়ে দেওয়া ছাড়াও যথাযথ স্থানে পরিবহন পার্কিংয়ের মহড়ায় অংশ নেয়। এসময় বাস টার্মিনালে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যায়।

উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষার অংশ হিসেবে পরিবহনসেবা চালুর সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটের পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে এই বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে যে সব সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে, সবাইকে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না। যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং করে বাস টার্মিনালের সেবা আদান-প্রদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করা যাবে না। সবাই মিলে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান ও সুবিধা-সমূহ যাত্রী সাধারণের জন্য নিশ্চিত করতে পারলেই সার্থকতা আসবে।

কেননা, দেশসেরা সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এই বাস টার্মিনাল সিলেটের জন্য গর্বের একটি প্রতিষ্ঠান বলেও মন্তব্য করেন সিসিক মেয়র।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিসিকের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, প্যানেল মেয়র ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ, সংরক্ষিত কাউন্সিরর রেবেকা আক্তার লাকী, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুল হক, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর, নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, সিলেটের পরিবহন মালিক শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতারা।  

সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে-মিউনিসিপ্যাল গভর্নমেন্ট সার্ভিস প্রজেক্ট- এমজিএসপি প্রকল্পে সিলেট সিটি করপোরেশন দেশের সর্বাধুনিক সুবিধা সম্বলিত এই ‘কদমতলী বাস টার্মিনাল’ নির্মাণ করছে। ৮ একর ভূমির ওপর ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রকল্পে বিমানন্দরের আদলে বহির্গমন ও আগমনের আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

স্থাপনার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে গোলাকার পাঁচতলা একটি টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে টার্মিনাল পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা কার্যালয়, কন্ট্রোল রুম, পুলিশ কক্ষ এবং পর্যটন কার্যালয় স্থাপন করা হবে।

যাত্রী ওঠানামার জন্য পৃথক টার্মিনালভবন, সুপরিসর পার্কিং ব্যবস্থা, পরিবহন সেবা দানকারীদের জন্য যাবতীয় সুবিধা সম্বলিত পৃথক ভবন, রেস্টুরেন্ট ও ফুড কোর্ট, পর্যাপ্ত যাত্রী বিশ্রামাগার, নারী, পুরুষ ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য আলাদা আলাদা শৌচাগার, ব্রেস্ট ফিডিং জোন, স্মোকিং জোন, ছোট দোকান, অসুস্থ যাত্রীদের জন্য সিকবেড, প্রার্থনা কক্ষসহ সব ধরণের আধুনিক সেবা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে এই স্থাপনায়।

এছাড়া, পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সভা অনুষ্ঠানের জন্য বিশাল হলরুম এবং যানবাহনের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওয়ার্কশপ স্থাপন করা হয়।

কদমতলী বাস টার্মিনাল প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে নগরের ক্বীন ব্রীজ, আলী আমজাদের ঘড়ি ও আসাম টাইপ বাংলোর স্থাপত্যশৈলী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে স্থপতি সুব্রত দাশ, স্থপতি রবিন দে এবং স্থপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে এর নকশা প্রণয়ন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
এনইউ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।