ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভাটারায় বাসায় মিলল শিক্ষার্থীসহ দুইজনের লাশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
ভাটারায় বাসায় মিলল শিক্ষার্থীসহ দুইজনের লাশ

ঢাকা: রাজধানীর ভাটারায় পৃথক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান শান্ত (২২) ও গৃহিণী নুর জাহান (২৫)।

শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দিনগত রাতে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। এরপর আজ (শুক্রবার) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহত হাসিবুল নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার ঘোষকামতা গ্রামের আবুল খায়ের আবুর ছেলে। পরিবারের সঙ্গে পূর্ব ভাটারায় রফিকুল ইসলামের বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

হাসিবুলের বড় ভাই আব্দুল কাইয়ুম জানান, তিনভাই এক বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন হাসিবুল। বাড্ডা লিংক রোড এলাকার তাজ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়তেন তিনি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে দরজা বন্ধ করে উচ্চস্বরে গান চালু করেন হাসিবুল। এরপর রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত একটানা গান বাঁচতে থাকে। পরিবারে লোকজন তাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হলে রুমের দরজার খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন- ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন হাসিবুল। পরে থানায় খবর দেন তারা।

তার রুম থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। যেখানে নিজের হতাশার কথা লিখে গেছেন বলে জানান তার বড় ভাই কাইয়ুম।

ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হোসেন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে- বাবার সঙ্গে অভিমান করেন হাসিবুল রুমের দরজা বন্ধ করে দেন। রাত ৮টার দিকে দরজা না খোলায় তার সৎ বোন রুমের দরজার লক খুলে দেখেন- গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে মৃত নুরজাহানের বাড়ি বাগেরহাট সদর উপজেলায়। বাবার নাম মৃত গোলাম মোস্তফা। স্বামী মোজাহিদ ও পাঁচ বছরের ছেলে গালিবকে নিয়ে ভাটারা নূরেরচালায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।

স্বামী মুজাহিদ জানান, তিনি ব্যবসা করেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে বাসায় ফিরে দেখেন- ফ্লোরে পড়ে আছেন নুরজাহান। তার নাক, মুখ দিয়ে লালা ঝরছে। তখন তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও মাথা ব্যথার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইদুল ইসলাম সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন- রাত দেড়টার দিকে খবর পেয়ে নুরজাহানের লাশ কুর্মিটোলা থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। অসুস্থতাজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার দাবি করলেও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে তার শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
এজেডএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।