ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সফল হোক প্যারিস সম্মেলন

ল’ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৫
সফল হোক প্যারিস সম্মেলন

প্যারিস সম্মেলনের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে নানা মহলে আলোচনা হচ্ছে। এতে যোগ দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা।



জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মতো অন্যান্য দ্বীপ রাষ্ট্রের জন্য একই অবস্থা। এবারের সম্মেলনের প্রত্যাশা একটি সর্বসম্মত চুক্তি যার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে কার্বণ নি:সরণের একটি সর্বসম্মত মাত্রা নির্ধারণ হবে। জলবায়ু উষ্ণতা রোধ করতে না পারলে আমাদের ভবিষ্যত জীবন প্রবাহ মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়বে।

সর্বসম্মত আইনগত চুক্তির ব্যাপারে উন্নয়ন ও উন্নয়শীল রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মতবিরোধ আছে। এরকম একটি সমঝোতায় পৌছানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের উদ্যোগ সবচেয়ে বেশি থাকার কথা।

জলবায়ু উষ্ণতাকে একটি সহনীয় মাত্রায় রাখার জন্য বিশ্ব গত কয়েক দশক ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্যারিস সম্মেলন সে রকম চেষ্টারই একটি ধারাবাহিক কার্যক্রম। প্যারিস সম্মেলনের আগে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এ বিষয়ে শোভাযাত্রা করেছে।

জলবায়ু নিয়ে এরকম উদ্বিগ্নতা আজ থেকে নয়। এ বিষয়ে আলোচনা-বিতর্ক হচ্ছে আরো কয়েক দশক আগে থেকেই। ১৯৯২ সাল থেকে এ বিষয়ে নিয়মিত আলোচনা-বিতর্ক হচ্ছে। ফলে, ১৯৯৭ সালে বিশ্ব একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করতে পেরেছে। কিয়োটো প্রটোকলের মাধ্যমে রাষ্ট্রসমূহের কার্বন মাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। কিন্তু উন্নত রাষ্ট্রগুলো এ বিষয়ে সম্মত হলোনা। যেমন যুক্তরাষ্ট্র এ বিল তার সিনেটেই উত্থাপন করলোনা। ফলে, অমীমাংসিতই রয়ে গেলো কিয়োটোর পরিণতি। অন্যদিকে চীন ও ভারতকে আলোচনার টেবিলে আনা গেলোনা। ফলে, বিশ্বে দূষণের হোতারা ধরা ছোয়ার বাইরেই রয়ে গেলো।

বাধ্য হয়ে বিশ্বকে আরেকটি চুক্তির দিকে মনোযোগ দিতে হলো। কোপেন হেগেনে আরেকটি চুক্তিও কার্যকর হতে পারলো না। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এই সমঝোতায় আসলো যে যুক্তরাষ্ট্র তার নি:সরণের মাত্রা ২০০৫ সাল থেকে শতকরা ২৮ ভাগে নামিয়ে আনবে আর চীন ২০১৭ সাল থেকে এ বিষয়ে কাজ করবে।

এরকম একটি প্রেক্ষিতেই প্যারিস সম্মেলন। বিশ্ব আশা করছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

জলবায়ু দুর্ভোগ মোকাবেলায় শিল্পোন্নত দেশগুলোর যে সক্ষমতা রয়েছে, আমাদের তা নেই। তাই দায়িত্ব ভাগাভাগির প্রশ্ন আছে। কিন্ত এ বিষয়েও কোনো কার্যকর উদ্যোগ উন্নত বিশ্বকে নিতে দেখিনা। বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ঝুকিপূর্ণ দেশ। এ ঝুকি মোকাবেলায় উন্নত বিশ্বের আশানুরুপ পদক্ষেপ নেই। গত কয়েক বছরেই এরকম অবস্থা বিরাজ করছে। ফলে, বিশ্ববাসী এ বিষয়ে হতাশ। তাই প্যারিস সম্মেলনের অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে এবারও।

শিল্পোন্নত দেশগুলোর আন্তরিকতার অভাবেই বৈশ্বিক পদক্ষেপকে এ রকম পরিণতি বরণ করতে হয়।

তাই রাষ্ট্রভেদে সবাইকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।