ঢাকা: দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো নারীকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত করলো ক্রোয়েশিয়ার জনগণ। আর ইউরোপীয় দেশটির রাষ্ট্রপ্রধান পদে প্রথমবারের মতো এ দায়িত্ব নিলেন রক্ষণশীলদের মধ্যে জনপ্রিয় কলিন্ডা গ্রাবার কিতারোভিচ।
অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে থাকা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নবীনতম দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কলিন্ডার কাছে সামান্য ব্যবধানে পরাস্ত হয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো হোসিপোভিচ।
দেশটির নির্বাচন কমিশন জানায়, রোববারের (১১ জানুয়ারি) নির্বাচনে প্রায় ৯৭ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়েছে। দিনশেষে ভোট গণনা করে দেখা যায়, ৫০ দশমিক ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জিতে গেছেন কলিন্ডা। আর তার প্রধান প্রতীদ্বন্দ্বী ইভো হোসিপোভিচের ঝুলিতে পড়েছে ৪৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, মাত্র ২১ হাজার ভোটের ব্যবধানে রাষ্ট্রের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন কলিন্ডা।

এ ফলাফলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট কলিন্ডা বলেন, আমি দারুণ আত্মবিশাবাসী। মানুষ ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্যই আমাকে ভোট দিয়েছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, এ নির্বাচনকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পর্যুদস্ত ক্রোয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় বাম সরকারের জন্য একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছিল।
রক্ষণশীলদের এই বিজয় ডানপন্থি জাতীয়তাবাদীদের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে পারে বলে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন। সেইসঙ্গে দেশটি তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতেও সক্ষম হবে বলেও মনে করেন তারা।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবর মতে, সংসদীয় নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য বড় পরীক্ষা বলে মনে করা হয়।
পাঁচবছর মেয়াদী এই নির্বাচনে কলিন্ডার জয়লাভ তার দল ক্রোয়েশিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের ক্ষমতায় আসার পথকেও সুগম করতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫