বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নিউজের পোস্ট করার জন্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে লভ্যাংশ না দেয়, তবে তাদের কয়েক লাখ ডলার জরিমানা দিতে হবে বলে ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
অস্ট্রেলীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত গুগল ও মেটার মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর চাপ বাড়াবে।
অস্ট্রেলিয়ার সহকারী ট্রেজারার স্টিফেন জোনস বলেন, নতুন আইন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সংবাদমাধ্যম গুলোর মধ্যে আর্থিক চুক্তি করার একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
নতুন আইনে, বছরে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করা বড় সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও সার্চ ইঞ্জিনগুলো এর আওতায় পড়বে। তবে, যারা সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে স্বেচ্ছায় চুক্তি করবে তাদের জন্য চার্জ মওকুফ করা হবে। খবর রয়টার্স
মেটা ও গুগল এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে। মেটার এক মুখপাত্র বলেছেন, প্রস্তাবটি আমাদের প্ল্যাটফর্ম গুলো কীভাবে কাজ করে তা বিবেচনা করছে না, বেশিরভাগ মানুষ আমাদের প্ল্যাটফর্মে সংবাদ পড়ার জন্য আসে না এবং সংবাদ প্রকাশকরা আমাদের প্ল্যাটফর্মে স্বেচ্ছায় কন্টেন্ট শেয়ার করে।
গুগলের মুখপাত্র বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়ায় সংবাদ প্রকাশকদের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তির টেকসইতায় ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।
২০২১ সালে, অস্ট্রেলিয়া প্রথমবার এই আইন প্রণয়ন করলে গুগল ও মেটার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংবাদমাধ্যমের লিঙ্ক থেকে আয় করা বিজ্ঞাপন রাজস্বের জন্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে আয়ের অংশ দিতে বাধ্য করে।
মেটা তখন অল্প সময়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের সংবাদ শেয়ার করা বন্ধ করে দেয়, পরে কিছু মিডিয়া কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে। তবে, ২০২৪ সালের পর তারা এসব চুক্তি নবায়ন করবে না বলে জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া শিশুদের জন্য সামাজিক মিডিয়া ব্যবহারের বয়স ১৬ বছর করার পাশাপাশি প্রতারণা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে দেশটির সরকার। নতুন নিয়মের আওতায় মেটা, গুগল এবং টিকটকের মতো কোম্পানিগুলোও পড়বে, তবে টুইটারের (এখন এক্স) ওপর এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ সংস্থাগুলো, যেমন রুপার্ট মারডকের নিউজ কর্প, নতুন নিয়ম থেকে লাভবান হবে। নিউজ কর্প অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মাইকেল মিলার ঘোষণা করেছেন যে তিনি মেটা ও টিকটকের সঙ্গে চুক্তি করার উদ্যোগ নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
এমএম