ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির পদক্ষেপ নিতে ম্যাক্রোঁর আহ্বান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৩
গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির পদক্ষেপ নিতে ম্যাক্রোঁর আহ্বান

ফিলিস্তিনের গাজায় দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

শনিবার দুবাইয়ে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে (কপ-২৮) অংশ নেওয়ার ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি।

সেখানেই এ কথা বলেন। খবর আল জাজিরা।

ম্যাক্রোঁ তার বক্তব্যে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি ওই ভূমির পরিস্থিতি নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো প্রয়োজন। আর তার জন্য প্রয়োজন জোরদার প্রচেষ্টা।

হামাসের সম্পূর্ণ ধ্বংস চেয়ে ইসরায়েল যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সেটি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি। ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, এর অর্থ যুদ্ধ আরও ১০ বছর স্থায়ী হবে।

উল্লেখ্য, ম্যাক্রোঁ যে সময় এ বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন কাতার পৌঁছেছিল মোসাদের একটি দল। তারা কাতারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নতুন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন।

কিন্তু শেষ মুহূর্তে মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া নেতৃত্বাধীন দলটিকে ফিরে আসবে বলে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতিও প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, আলোচনায় অচলাবস্থার পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দোহা থেকে ডেভিড বার্নিয়া নেতৃত্বাধীন মোসাদের দলটিকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে লেখা হয়, তারা চুক্তির অংশ পূরণ করেনি। হামাসের কাছে একটি তালিকা পাঠানো হয়েছিল। ওই তালিকায় শিশু ও নারীদের মুক্তির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং হামাস সেটির অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু হামাস তাদের কাছে থাকা সব নারী জিম্মিকে মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, সিআইএ প্রধান, মিশরীয় গোয়েন্দা বিভাগের মন্ত্রী ও কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে তাদের অসাধারণ মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় অংশীদারিত্বের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়া। তাদের কারণে গাজা থেকে ৮৪ জন ইসরায়েলি নারী ও শিশু এবং ২৪ জন বিদেশি নাগরিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ হওয়ার পর শুক্রবার গাজা উপত্যকায় ফের নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ২৪ ঘণ্টায় গাজায় অন্তত ৪০০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তারা। এতে অন্তত ১৯৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে; আহত হয়েছে আরও ৬৫২ জন। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে ব্যাপক। এ ছাড়া লেবাননেও হামলা চালায় ইসরায়েল। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে।

শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা ১৫ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। আর আহত হয়েছেন আরও ৪০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় হতাহত ফিলিস্তিনিদের ৭০ শতাংশ নারী ও শিশু।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।