ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

আগরতলায় হাওড়া নদী পাড়ের সৌন্দর্যায়নে খরচ ১০০ কোটি রুপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৩
আগরতলায় হাওড়া নদী পাড়ের সৌন্দর্যায়নে খরচ ১০০ কোটি রুপি

আগরতলা (ত্রিপুরা): হাওড়া নদীকে গভীর পরিছন্ন ও পাড়কে সাজিয়ে তুলতে কাজ শুরু হয়েছে। স্মার্ট সিটি প্রকল্পে ১০০ কোটি রুপি খরচ করে এই কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার।

রাজন্য স্মৃতি বিজোড়িত রাজধানী আগরতলার বুক চিরে হাওড়া নদী বাংলাদেশে পাড়ি দিয়ে মিলেছে তিতাস নদীতে। শতবর্ষী এই শহরের ময়লা জঞ্জালের ভরে এখন মৃতপ্রায় এক সময়ের স্রোতস্বিনী এই নদীটি। স্রোত হারালেও শহরবাসীর কাছে এর গুরুত্ব একটুও কমেনি। তাই এই নদীকে আবারও উজ্জীবিত করতে পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার।

আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে হাওড়ার পলি তুলে নাব্যতা বাড়ানো হবে। রাজধানীর ঝুলন্ত সেতু থেকে দশমীঘাট এলাকা পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার পাড় সংস্কার করা হবে। বড় বড় শহরের নদীর পাড় যেভাবে সাজিয়ে তোলা হয়, ঠিক একই ভাবে হাওড়ার তীরকে পার্কের আদলে সাজিয়ে তোলা হবে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষদের হাঁটার এবং বসার জন্য জায়গা করে দেওয়া হবে। তৈরি করা হবে ফুলের বাগান। বাইসাইকেল চালানোর জন্য আলাদা করে লেন তৈরি করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে হাওড়া নদীর যে পাড় রয়েছে এটি প্রতি বছর বর্ষার সময় ভেঙ্গে শহরে জল ঢোকার আশঙ্কা থাকে। বর্ষার সময় প্রবল বেগে যখন পানি বইতে থাকে, তখন মাঝেমধ্যেই পাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ছোটখাটো ভাঙ্গন দেখা যায়। তাই এখন পাড়কে মজবুত করে পাথর ও সিমেন্ট দিয়ে বাঁধাই করা হচ্ছে। বটতলা মহাশ্মশান ঘাট এলাকায় হাওড়া নদীর পাড়ে শ্মশান যাত্রীদের সুবিধার জন্য সুন্দর করে সিঁড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।

হাওড়া নদী চেহারা বদলে যাবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, নদীর পাড় জুড়ে অসংখ্য বাড়িঘর রয়েছে। তাদের বাড়ি ঘরের, প্রণালীর ও শৌচালয়ের পানি সরাসরি হাওড়ায় মিশছে। এছাড়াও শহরের বেশিরভাগ এলাকার ড্রেনের পানি সরাসরি হাওড়া নদীতে গিয়ে পড়ছে। অথচ এই হাওড়ার জলকে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে পরিস্রুত করে শহরে খাওয়ার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীনে চারটি পৃথক পৃথক জায়গায় ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো হবে। এই প্ল্যান্টগুলোতে শহরের সব ড্রেনের পানি যাবে এবং সেখানে ট্রিটমেন্ট করে পরিস্রুত হওয়ার পর হাওড়া নদীতে গিয়ে পড়বে। সব মিলিয়ে বর্তমানে যে দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন হাওড়া নদীর পাড় রয়েছে আগামী এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ হলে এর চেহারা বদল হয়ে যাবে।

মেয়র বলেন, একইভাবে শহরের কাটাখালকে সংস্কার করার জন্য আরও একটি প্রকল্প তৈরি করে অনুমোদনের জন্য কেন্দ্র সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাস হয়ে এলে কাটাখালের সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, স্মার্ট সিটির অধীনে আগরতলা শহরে বেশ কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৫০টির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৩ 
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।