ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

ত্রিপুরায় হবে হর্টিকালচারাল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র: মন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
ত্রিপুরায় হবে হর্টিকালচারাল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র: মন্ত্রী

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেছেন, দ্রুতই ত্রিপুরায় প্রথম হর্টিকালচারাল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) আগরতলার নাগিছড়া এলাকায় রয়েছে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অন্তর্গত উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যান ও বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

রতন লাল নাথ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো এ গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। প্রথমে তিনি এ গবেষণা কেন্দ্রের পাম তেল বাগানটি পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি নারকেল বাগান পরিদর্শন করে বাগানের মধ্যে উন্নত জাতের একটি নারিকেলের চারা রোপণ করেন। এরপর তিনি একে একে গবেষণা কেন্দ্রের সবজি চাষের প্লটগুলো পরিদর্শন করেন।  

এছাড়া গ্রিন হাউজের মধ্যে যেসব সবজি চাষ হচ্ছে এগুলো ঘুরে দেখেন তিনি। এ প্লটগুলোতে নানা জাতের সবজি ও পেঁয়াজ চাষ দেখে প্রশংসা করেন মন্ত্রী রতন লাল। এরপর তিনি মুসাম্বি লেবুর প্লট, পেয়ারা, আম, ড্রাগন ফল চাষের প্লট ঘুরে দেখেন। এ প্লটগুলোতে ১৫ জাতের আম চাষ হচ্ছে। সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে দেখেও প্রশংসা করেন মন্ত্রী রতন লাল।

পাশাপাশি তিনি গবেষণা কেন্দ্রের বিভিন্ন ধরনের ফলের চারা উৎপাদনের জায়গাটিও ঘুরে দেখেন। এরপর তিনি টিস্যু কালচার ল্যাব, মাশরুম ল্যাব এগুলো ঘুরে দেখেন তিনি।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বিভিন্ন প্লটে কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের কোনো ধরনের সমস্যা রয়েছেন কিনা জানতে চান। দপ্তরের কাছে তাদের কোনো বিশেষ চাহিদা রয়েছে কিনা তাও জানতে চান।

পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী রতন লাল বলেন, গবেষণা কেন্দ্রটি প্রথম পাম তেলের গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু তখন রাজ্যে কোনো পাম তেল প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়নি। এর ফলে এ গাছগুলোতে ফল উৎপাদন হলেও তেল প্রক্রিয়াকরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই পুরাতন এ বাগানটিকে হর্টিকালচারাল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বিদেশ এবং দেশের অন্যান্য জায়গাতে এখন এ ধরনের বহু পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এ কেন্দ্রগুলোকে ঘিরে মানুষেরও আগ্রহ রয়েছে। এর ফলে এ জায়গাটি একদিকে যেমন কাজে লাগানো সম্ভব হবে তেমনি বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে। শহরের খুব কাছে হওয়ায় সাধারণ মানুষ খুব সহজেই ঘুরতে যেতে পারবেন।

তিনি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের বর্তমান সরকার কৃষিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এ রাজ্যে চাষের জমি অত্যন্ত কম হওয়ার পরও ফসল উৎপাদনশীলতার দিক থেকে দেশের অন্যান্য অনেক বড় রাজ্যকে পেছনে ফেলে ত্রিপুরা এগিয়ে রয়েছে। আরও নতুন নতুন জাতের ফসল সবজিসহ অন্যান্য কৃষিজাত পণ্য উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায় এ নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে আরও ছিলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, অধিকর্তা শরদিন্দু দাস, উদ্যান এবং মৃত্তিকা সংরক্ষণ বিভাগের অধিকর্তা ড. ফনি ভূষণ জমাতিয়া, উদ্যান ও বাগিচা ফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান ডেপুটি ডিরেক্টর ড. রাজীব ঘোষ প্রমুখ।

পাশাপাশি এদিন এ কেন্দ্রে মন্ত্রী গোল মরিচ চাষের ওপর দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। এতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আগ্রহী চাষি এবং কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
এসসিএন/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।