ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

নির্বাচনী প্রচারে ত্রিপুরায় এসে দুটি জনসভা করলেন অমিত শাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
নির্বাচনী প্রচারে ত্রিপুরায় এসে দুটি জনসভা করলেন অমিত শাহ অমিত শাহ। ফাইল ছবি

আগরতলা (ত্রিপুরা): হাতেগোনা আর কিছুদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রিপুরার পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বচানকে সামনে রেখে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপুরায় একদিনে দুটি সভা করলেন সর্বভারতীয় বিজেপি নেতা তথা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

 

এদিন বিশেষ বিমানে তিনি আগরতলায় এসে পৌঁছান। তাকে বিমানবন্দরের স্বাগত জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহাসহ অন্যান্য নেতারা। এরপর তিনি জনসভায় যোগ দিতে হেলিকপ্টারে চেপে চলে যান দক্ষিণ জেলার শান্তিরবাজার এলাকায়। বিজেপি এবং আইপিএফটি মনোনিত প্রার্থীদের বিপুলভোটে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে বিজয় সংকল্প জনসভার আয়োজন করা হয়।  

এই জনসভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ। তার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা, বিজেপির দক্ষিণ জেলার সভাপতি তথা সাব্রুম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি মনোনিত প্রার্থী শঙ্কর রায়, শান্তির বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিজেপি মনোনিত প্রার্থী প্রমোদ রিয়াং, জোলাইবাড়ী বিধানসভা কেন্দ্রের আইপিএফটি মনোনিত প্রার্থী শুক্লা চরন নোয়াতিয়াসহ বিজেপির অন্যান্য নেতারা।  

এই জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ ভারত সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূল কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপিকে হারানোর জন্য বামফ্রন্ট কংগ্রেস জোট বেঁধেছে। অপরদিকে এই দুই জোট সঙ্গীকে পেছন থেকে পরোক্ষ ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তিপ্রামথা দল। তাই কংগ্রেসকে ভোট দিলে সেই ভোট পাবে সিপিআইএম এবং তিপ্রামথাকে ভোটদান করলে সেই ভোট চলেযাবে সিপিআইএমের কাছে। তাই রাজ্যে বিগত দিনের কালোদিন যাতে ফিরে না আসে তার জন্য আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ১৬ই ফেব্রুয়ারি পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিয়ে বিজেপি মনোনিত প্রার্থীদের বিপুল ভোটেজয়যুক্ত করার বিশেষ আহ্বান রাখেন।

সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, রাজ্যের বিজেপি সরকারকে আবার প্রতিষ্ঠিত করলে তারা ত্রিপুরা জনজাতি সশাসিত এলাকা উন্নয়নের জন্য বিশেষভাবে কাজ করবে। তাই সবাই যেন বিজেপিকে ভোট দেয় এই আহ্বান করেন।  

দক্ষিণ জেলার সবার শেষে তিনি চলে যান খোয়াই জেলায়। সেখানে মানিক ভান্ডারের পুরাতন বিমানবন্দর মাঠে এক সবার আয়োজন করা হয়। এই সভাতেও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে আগরতলায় একটি রোড স্রোতে অংশ নেবেন এবং রাতে দিল্লি ফিরে যাবেন বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
এসসিএন/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।