ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ফ্যাট সবসময় মন্দ নয়!

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৪
ফ্যাট সবসময় মন্দ নয়!

ফ্যাট বা চর্বি নাম শুনলেই আমাদের মধ্যে একধরনের ভীতি কাজ করে। তবে সবসময় ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

কারণ সব ফ্যাট কিন্তু খারাপ না। লাল মাংস বা মাংসজাত খাবার, কেক, বিস্কুটের মধ্যে উচ্চমাত্রায় ফ্যাটি এসিড থাকে। এগুলো কার্ডিওভাসকুলার বা হৃদপিণ্ড জটিলতায় মৃত্যুর অন্যতম কারণ।

অপরদিকে বাদাম, তেলসমৃদ্ধ মাছ এবং দুগ্ধজাতীয় খাবারের মধ্যে যে ফ্যাট থাকে তা এ ধরনের মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। ফ্যাটের উপকারী কয়েকটি দিক নিয়ে প্রতিবেদন লিখছে হাফিংটন পোস্ট ও সিডনি মর্নিং হেরাল্ড। নিচে সেটি বাংলানিউজের পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো:
fat_1
ফ্যাট শক্তির যোগানদাতা: কার্বোহাইড্রেট থেকে আমরা সবচেয়ে বেশি এনার্জি বা শক্তি পেয়ে থাকি। তবে জেনে রাখা ভালো ফ্যাট থেকে দেহের জন্য এক চতুর্থাংশ শক্তি আমরা পাই।
fat_2
কম এনার্জি গ্রহণ অধিক ওজন হ্রাস: দেহের ফ্যাট ঝেড়ে ফেলার সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম হচ্ছে এনার্জি কম গ্রহণ করে শারীরিক কাজ-কর্ম বাড়িয়ে দেওয়া। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কম এনার্জিসমৃদ্ধ খাবার খান।
fat_3
চর্বি নয়, কার্বোহাইড্রেট: স্নেহজাতীয় খাবার বেশি গ্রহণের ফলে মানুষ মুটিয়ে যায়। কার্বোহাইড্রেট থেকে আমাদের দেহে খুব কমই ফ্যাট তৈরি হয়। । কারণ এগুলো ফুয়েল হিসেবে দেহে ব্যবহৃত হয়। তবে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট দেহে জমা হলে সেগুলো ফ্যাটে পরিণত হয়।
fat_4
নারীর প্রজননক্ষমতায় ফ্যাট: বডি ফ্যাট নারীদের ফার্টিলিটি বা প্রজননক্ষমতার জন্য খুবই প্রয়োজন। একজন পূর্ণবয়স্ক নারীর দেহের ওজনের ২০-৩০ ভাগ হচ্ছে ফ্যাট যা পুরুষের দ্বিগুণ। যদি এই হার ১৮ ভাগের নিচে কিংবা ৫০ ভাগের ওপরে চলে যায় তাহলেও নারীর প্রজনন বাধাগ্রস্ত হয়।
fat_5_
কিছু ফ্যাটি অ্যাসিড খুবই প্রয়োজন: পলিনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এ্যাসিড আমাদের ত্বকের জন্য উপকারী। এছাড়া কার্ডিওভাসকুলার, মস্তিষ্ক ও দৃষ্টিশক্তির জন্য এগুলো প্রয়োজন। আমরা প্রধানত বাদাম, শাকসব্জি ও তেলসমৃদ্ধ মাছ থেকে এই ফ্যাট পেয়ে থাকি।
fat_6
ভিটামিন হজমে ফ্যাট: ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’, ‘ই’ এবং ‘কে’ হজম করতে আমাদের দৈনিক প্রায় ৩০ গ্রাম ফ্যাট প্রয়োজন। এগুলো আমরা আবার ফ্যাটি ফুড থেকে পেয়ে থাকি। ভেজিটেবল অয়েলে ভিটামিন ‘ই’ এবং তেলসমৃদ্ধ মাছে ভিটামিন ‘ডি’ রয়েছে।
fat_7
রক্তের কোলেস্টরলে ফ্যাটের ভূমিকা: আপনার করোনারি হার্ট ডিজিস হওয়ার ঝুঁকি আছে কিনা সেটা রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর নির্ভর করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, পলিনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে হার্টের রোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
fat_8
সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট মন্দ নয়: চার ধরনের ফ্যাটের মধ্যে একটি হচ্ছে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। অনেকে রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য একে দায়ী করে থাকেন। তবে সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট মন্দ নয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৬৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।