ঢাকা: হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) টিকা পেয়েছে বাংলাদেশে টিকার উপযুক্ত ৯৩ শতাংশ মেয়ে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), গ্যাভি এবং ইউনিসেফ থেকে পাঠানো এক যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট ও রংপুর বিভাগে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) টিকা প্রদান কার্যক্রমের চূড়ান্ত পর্যায় সম্পন্ন করেছে। এ কার্যক্রমে সহায়তা করেছে ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভি, ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে ৫৬ লাখ কিশোরীকে (লক্ষ্যমাত্রার ৯৩ শতাংশ যাদের বয়স ১০-১৪ বছর) এইচপিভি টিকা দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কিশোরীরাও। নারীর জরায়ুমুখ ক্যানসার রোধে এটি অপরিহার্য এক পদক্ষেপ।
জরায়ুমুখ ক্যানসার হয় একটি সাধারণ ভাইরাস (এইচপিভি) থেকে এবং এটি গোটা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও নারীর মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ। বাংলাদেশ প্রতি বছর জরায়ুমুখ ক্যানসারে পাঁচ হাজারের বেশি নারী প্রাণ হারান। তবে প্রাণঘাতী এ ক্যানসার প্রতিরোধযোগ্য। এর প্রথম ধাপ হলো, সব নারীকে কৈশোর বয়সেই এইচপিভি টিকা নিতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা এ টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রায় ৯০ শতাংশ কমেছে। এ টিকার ফলে তারা আসন্ন দুর্ভোগ, পারিবারিক বিপর্যয় এবং ব্যয় বহুল চিকিৎসার খরচ থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
বাংলাদেশে ২০০৮ সাল থেকে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এইচপিভি টিকার গুরুত্বের কথা বলে আসছেন এবং গত কয়েক মাসে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, যাদের এই টিকা দেওয়া হয়নি তাদেরসহ সব নারীর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত করা যেন ভাইরাসটি ক্যানসার কোষ তৈরির প্রাথমিক পর্যায়েই শনাক্তকরণের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ারস বলেন, ৯৩ শতাংশ মেয়েকে এইচপিভি টিকা দেওয়ার এ মাইলফলক অর্জিত হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের ইপিআই প্রোগ্রামের নেতৃত্বে, এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
আরকেআর/আরআইএস