বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে চলছে বিদ্রোহ। কোচের অপসারণ চেয়ে অনুশীলন বয়কট করেছে জাতীয় দলের ১৭ ফুটবলার।
নারী ফুটবলারদের চলমান আন্দোলনে বিকেএসপির বর্তমান দু’জন এবং কিছু সাবেক ফুটবলার রয়েছেন। এছাড়া আন্দোলনে যোগ না দিয়ে নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিকেএসপির পাঁচজন ফুটবলার। তাদের সবার সঙ্গেই দেখা করতে এসেছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন থেকেই গনমাধ্যমে দেখছিলাম নারী ফুটবল দলে একটি বিষয় নিয়ে সমস্যা চলছে। যেহেতু এখানে আমার বিকেএসপির কিছু রানিং ফুটবলার রয়েছে। এছাড়া ঋতুপর্ণা সহ কিছু এক্স বিকেএসপির খেলোয়াড়ও আছে। সম্প্রতিই তারা বিকেএসপি থেকে বের হয়ে এসেছে। সেখান থেকেই আমার মনে হলো বিকেএসপির মহাপরিচালক হিসেবে বিকেএসপির বর্তমান খেলোয়াড় হোক কিংবা সাবেক সবারই অভিভাবক আমি। ’
‘আমার মনে হলো তাদের কি অবস্থা তাদের সঙ্গে আমার কথা বলা প্রয়োজন। তখন আমি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি, বলি আমি আমার খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টা জানতে চাই। সেখানে থেকেই আমার এখানে আসা। ’
শুধু বিকেএসপির ফুটবলার নয় ক্যাম্পে থাকা সকল নারী ফুটবলারদের সঙ্গেই কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘কথা বলতে গেলে তো আর শুধু বিকেএসপির খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলা হয় না। সবার সঙ্গেই আমার কথা হয়েছে। বর্তমান অবস্থা কি এই বিষয়ে। ’
তাদের প্রতি কি বার্তা দিয়েছেন? এই বিষয়ে নারী ফুটবলারদের দাবির যৌক্তিকতা বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শুধু ওদের ফিলিংসটা জেনে যাচ্ছি। এখানে তো আমার পরামর্শ দেওয়ার কিছু নেই। পরামর্শ সিদ্ধান্ত এসবই দেবে ফুটবল ফেডারেশন। সভাপতিও মনে হয় কালকেই চলে আসবেন। ’
‘কোনটা যৌক্তিক অযৌক্তিক এটা আমি যাচাই করতে আসিনি। আমি শুধু তাদের অবস্থাটা জানতে এসেছি। আমি ওদের বিষয়গুলো জানলাম। ওদের যেভাবে গাইড করা প্রয়োজন আমি করে দিয়েছি। যে কোনও খেলার ক্ষেত্রেই ডিসিপ্লিন সবার আগে। শুধু ফুটবল ফেডারেশন নয় যে কোনও ফেডারেশনেই খেলতে যাওয়া আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ডিসিপ্লিন নিয়ে আমার সঙ্গে তাদের একটা সেশন থাকে। কারণ তারা একটা ইউনিফর্ম পরবে, কে্উ যেন আঙ্গুল তুলতে না পারে বিকেএসপির খেলোয়াড়দের দিকে। ’- যোগ করেন তিনি।
কোচ নিয়ে বিদ্রোহ করলেও নারী ফুটবলারদের ভাবনা জুড়ে এখনও শুধুই ফুটবলে ভালো করার চিন্তা। এটা পজেটিভ দিক বলে মনে করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক মুনীরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দেরও নিজস্ব কিছু চিন্তা ভাবনা আছেন। তবে একটা জিনিস খেয়াল করলাম ওদের চিন্ত ভাবনায় খেলাই রয়েছে। সামনে যে খেলা হয়েছে বাংলাদেশ দল আরব আমিরাতে যাবে সেখানে ভালো করতে হবে। এটা একটা পজেটিভ দিক বলে মনে হয়েছে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড় ভালো রেজাল্টের বিষয়ে ভাবছে। ’
‘আমার যা বলার আমি তাদের বলেছি। আমি আমার মত করে তাদের গাইড করেছি। ডিসিপ্লিনের বিষয়ে তারা যেন শক্ত হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫
এআর/আরইউ