ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনায় প্রাণ গেল ৩ চিকিৎসকের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২০
পশ্চিমবঙ্গে একদিনে করোনায় প্রাণ গেল ৩ চিকিৎসকের প্রতীকী ছবি

কলকাতা: করোনা ভাইরাস ঠেকাতে বিশ্বজুড়েই চিকিৎসকদের প্রাণ যাচ্ছে। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও।

 

সোমবার (১০ আগস্ট) ছিল রাজ্যের চিকিৎসক মহলের কাছে সবথেকে শোকের দিন। কারণ এ দিনে মৃত্যু হলো চার চিকিৎসকের। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৩ জন এবং এক চিকিৎসক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

এর আগে করোনার কারণে রাজ্যে ১২ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু একদিনে চিকিৎসকমহলে এত বড় আঘাত রাজ্যের নিরিখে এই প্রথম।  

ওই তিন চিকিৎসক হলেন, তপন সিনহা, বিশ্বজিৎ মন্ডল এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য।

চিকিৎসক তপন সিনহা ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে, উত্তর ২৪পরগনা জেলার ব্যারাকপুরের চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাত ছিলেন বিশ্বজিৎ মন্ডল। বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসাধীন থাকাকালীন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে নেওয়ার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার দুপুরে মৃত্যু হয় তার।

ওই জেলার শ্যামনগর এলাকার অত্যন্ত জনপ্রিয় চিকিৎসক ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। লকডাউনের সময়গুলোয় শ্রমিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরেই করোনা আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তারও মৃত্যু হয় সোমবার।

একদিনে তিনজন চিকিৎসকের প্রাণ কেড়ে নিল করোনা ভাইরাস। ‘ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম’সহ  রাজ্যের বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন এদিন শোক প্রকাশ করেছে। ওয়েস্টবেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের পক্ষ থেকে চিকিৎসক কৌশিক চাকি জানান, ‘এই শোক প্রকাশের ভাষা নেই। একে একে আমাদের সহকর্মীদের প্রাণ যাচ্ছে করোনায়। এদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও অনেক সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে। ’

এছাড়া সোমবার দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান চিকিৎসক হিমাদ্রি সেনগুপ্ত ।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১৮ ঘণ্টা, অগাস্ট ১১, ২০২০
ভিএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।