ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

হোলির আগে কলকাতায় ভেষজ আবিরের চাহিদা তুঙ্গে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
হোলির আগে কলকাতায় ভেষজ আবিরের চাহিদা তুঙ্গে লাল, সবুজ, গেরুয়া, হলুদ প্রভৃতি রঙ বেচাকেনা হচ্ছে বেশি। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কলকাতা: একদিন বাদেই রোববার (১২ মার্চ) দোলযাত্রা বা রঙের উৎসব বাংলাজুড়ে। তারপর দিন গোটা ভারতজুড়েই এই রঙের উৎসব, যা পশ্চিম আর উত্তর ভারতে পরিচিত হোলি নামে। 

এ উৎসব উপলক্ষে কলকাতা নগরীর প্রধান বাজার থেকে শুরু করে প্রতিটি অঞ্চলের বিভিন্ন দোকান সেজে উঠেছে আবির এবং নানা ধরনের রঙের পসরায়। এসব দোকানে আবির বা রঙ কিনতে ভিড় লেগে গেছে উৎসবপ্রিয় মানুষের।

নগরীর বিভিন্ন স্পটের কয়েকটি দোকানে কথা বলে জানা গেল, বিভিন্ন প্রকার ভেষজ আবির পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এরমধ্যে লাল, সবুজ, গেরুয়া, হলুদ প্রভৃতি রঙ বেচাকেনা হচ্ছে বেশি। আর এ বছর সবচেয়ে বেশি চাহিদা ভেষজ আবিরের।  
 
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাসায়নিক দিয়ে প্রস্তুত করা রঙ অনেক সময় ত্বকে সমস্যার সৃষ্টি করে। এছাড়া এ ধরনের রঙের স্থায়িত্ব বেশি হওয়ায় অনেকে তা ব্যবহার করতে চান না। ফলে ভেষজ আবিরের দিকে বেশি ঝুঁকছেন সাধারণ মানুষ।
 
লাল, সবুজ, গেরুয়া, হলুদ প্রভৃতি রঙ বেচাকেনা হচ্ছে বেশি।  ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবেশ কিছু বছর আগে প্রথম কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই ভেষজ আবিরের আবিষ্কার করেন। বিভিন্ন রঙের ফুলের পাপড়ি ব্যবহার করে এই ভেষজ আবির বানানো হয়ে থাকে। ধীরে ধীরে এই আবিরের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় বেসরকারি উদ্যোগে এখন এমন আবির তৈরি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাজারে ছাড়ছে।
 
কিন্তু এই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ভেষজ আবিরের মান এবং তার সত্যতা নির্ণয় করতে সরকারি কোনো সংস্থা নেই। ফলে মোড়কের ওপর নির্মাতা সংস্থার দাবিকেই সত্য বলে মেনে নিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এই নিয়ে ক্রেতাদের মনে কিছুটা সংশয় থেকে যাচ্ছে স্বভাবতই।

কলকাতার গড়িয়াহাট বাজারে আসা রমেন পাল ভেষজ আবিরের গুণ-মান নিয়ে বিক্রেতার কাছে প্রশ্ন করলে তার কোনো সদ্যুত্তর পাননি। ক্রেতাদের মতে, ভেষজ আবিরের গুণ-মান এবং তার সত্যতা নির্ণয় করার ক্ষেত্রে সরকারি কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকলে এই সংশয় কেটে যেতে পারে।
 
তবে ভেষজ আবিরের পাশাপাশি রাসায়নিক নেই এমন চিরাচরিত রঙগুলোরও চাহিদা ভালো বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
এসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।