ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আগরতলায় আরশি কথার আন্তর্জাতিক উৎসব

সুদীপ চন্দ্র নাথ, আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৬
আগরতলায় আরশি কথার আন্তর্জাতিক উৎসব ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: বক্তৃতা, গান-কবিতা, সাহিত্য আড্ডায় দারুণ একটি সন্ধ্যা পার করলো আগরতলাবাসী। ত্রিপুরা ছাড়াও বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম থেকে আগত কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীরা সন্ধ্যা থেকে রাত টানা কয়েক ঘণ্টা মাতিয়ে রাখেন অনুষ্ঠান।

  
 
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টম্বর) ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও সংস্কৃতি উৎসব যেনো এক টুকরো অখণ্ড বাংলায় পরিণত হয়। স্থানীয় সাহিত্য পত্রিকা ‘আরশি কথা’র উদ্যোগে এই আয়োজন। যার মিডিয়া পার্টনার বাংলানিউজ।
 
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ভানু লাল সাহা। সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অগ্নি কুমার আচার্য। এছাড়া অতিথি ছিলেন, কবি ও প্রাবন্ধিক আশিষ কুমার বৈদ্য, শ্যাম-সুন্দর জুয়েলার্সের কর্ণধার রূপক সাহা, স্যান্দন পত্রিকার সম্পাদক সুবল কুমার দে প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বাংলানিউজের এডিটর-ইন-চিফ আলমগীর হোসনকে বিশেষ স্মারক সম্মাননা দেওয়া হয়। তার পক্ষে এটি গ্রহণ করে বাংলানিউজ টিম।
 
মন্ত্রী ভানু লাল সাহা তার বক্তব্যে তুলে আনেন তরুণ প্রজন্মের প্রতি সংবাদমাধ্যমসহ প্রবীণদের দায়বদ্ধতার কথা।  

তিনি বলেন, আমাদের সরকার সবসময় সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চার বিষয়ে তৎপর। এজন্য যে ধরনের সহযোগিতাগুলো দেওয়া যায়, তা দেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়বে।
 
প্রাবন্ধিক আশিষ কুমার বৈদ্য বলেন, এখনকার সময়ে সাহিত্য তার ঐতিহ্য হারাচ্ছে। যা আগের মতো প্রাণময় করে তোলা আমাদের সবার দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশ-ভারতের বাংলা ভাষাবাসী মানুষদের।


 
অগ্নি কুমার আচার্য বলেন, সাহিত্য-সংস্কৃতির একটি সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। অথচ আজ এগুলো বিপথগামী। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে যারা প্রকৃত সাহিত্যপ্রেমী তাদের একযোগে কাজ করতে হবে।
 
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে ত্রিপুরার অন্যতম ককবরক ভাষায় সুর ঝরনার শিল্পীরা একটি সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন। গানটি ছিলো রবীন্দ্র সংগীত ‘এসো আমার ঘরে এসো’। এরপর একে একে সমবেত সংগীত ও যন্ত্র সংগীত পরিবেশন করেন দুরন্ত শিল্পীগোষ্ঠী, দেবব্রত মল্লিক, তন্ময় ঋষি দাস ও বিভাস ঋষি দাস।
 
পরে শুরু হয় কথা-সুরে আগমী আড্ডা। এ পর্বে গান শোনান অনিন্দিতা বিশ্বাস (ত্রিপুরা), অমর ঘোষ (ত্রিপুরা), প্রবীর পাল (বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম বেতার) ও শর্মিষ্ঠা দাস চাকি (পশ্চিমবঙ্গ), আমিরুল মোমেনীন মানিক (বাংলাদেশ), আশরাফুজ্জামান পিনু (বাংলাদেশ), সুদীপ্ত শেখর মিশ্র (ত্রিপুরা), দেবাশীষ এন্দ (ত্রিপুরা), নন্দিতা সাহা (ত্রিপুরা), পিনাক পানি দেব (ত্রিপুরা)। এর সঞ্চালনা করেন আরশি কথার সম্পাদক, সাংবাদিক শান্তনু শর্মা ও আকাশবাণীর ঘোষক সিদ্ধার্থ হালদার।
 
কবিতা শোনান ভারতের বিখ্যাত সাহিত্যিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের কন্যা সর্বানী মুখোপাধ্যায়, মজুমদার বিপ্লব, জহির রায়হান প্রমুখ।
 
শেষে কবিতা পাঠ করে শোনান ত্রিপুরার বিশিষ্ট আবৃতিকার ও উপস্থাপিকা শাওলী রায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৬
এসএন/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।