ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক কৃষকের সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১১
সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক কৃষকের সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ

কলকাতা: সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কৃষি জমি রক্ষা কমিটির মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।

এ বিরোধকে কেন্দ্র করে জমি বণ্টনের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল।



সরকারি তালিকায় অনিচ্ছুক কৃষকের সংখ্যা ২ হাজার ২০০জন দেখানো হলেও কমিটির দাবি সংখ্যাটা হবে ১০ হাজার।

এদের সবাইকে জমি ফেরত বা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করছে তারা।

বুধবার তৃণমূল বিধায়ক ও কমিটির শীর্ষ নেতা বেচারাম মান্না বাংলানিউজকে বলেন,‘প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে ৪ হাজার কৃষকের তালিকা ছিল। কিন্তু তদন্তের পর দেখা গেল, হাজার হাজার অনিচ্ছুক কৃষকের নাম তালিকাভুক্ত হয়নি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘বামফ্রন্ট সরকার ওইসব কৃষকদের জমি মিউটেশান করেনি। এরই মধ্যে জমির মালিকের সংখ্যা বেড়েছে। কারণ বয়স্ক কৃষকদের অনেকেই মারা গেছেন এবং তাদের জমি বণ্টন হয়ে গেছে ছেলেদের মধ্যে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কৃষকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ’

এদিকে, মঙ্গলবার রাতে প্রথম দফায় ১২ কৃষকের মোট সাড়ে ১১ বিঘা অর্থাৎ ৩ দশমিক ৮ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে।

এ জমির মালিকানা বুধবার তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

এরা হলেন- যমুনা ঘড়াই, যুগলচন্দ্র কোলে, অশোক ধারা, রাজকুমার ধারা, নবকুমার ধারা, রামকৃষ্ণ কোলে, প্রদীপ কোলে, শ্যামল কোলে, কণকবালা কোলে, শঙ্কর ধারা ও শিবু ধারা।

এরা প্রত্যেকে গোপালনগর মৌজার কোলেপাড়ার বাসিন্দা।

হুগলীর জেলাশাসক শ্রীপ্রিয়া রঙ্গরাজন এদের হাতে জমির মালিকানা তুলে দেবেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।