ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

হাতিয়ায় মুন্সিয়া বাহিনীর প্রতিরোধে নিজ এলাকায় যেতে পারেননি সাংসদ আজিম

হাতিয়া প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১১

হাতিয়া(নোয়াখালী): নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম বৃহস্পতিবার সকালে জেলা সদর থেকে নিজ এলাকায় ফেরার পথে হাতিয়ার বয়ারচর চেয়ারম্যানঘাট পুলিশ ক্যাম্পের সামনে জলদস্যু মুন্সিয়া বাহিনীর বাধার মুখে ফিরে যান।

তবে স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানায়, সাংসদকে বাধা দানকারীরা ডাকাত বা দস্যু নয়, তারা এলাকার ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর অংশ।



জানা যায়, গত ২১ মার্চ জাতীয় সংসদে কুখ্যাত জলদস্যু মুন্সিয়া বাহিনীর হাতিয়ার চরাঞ্চল ও মেঘনায় অত্যাচার নির্যাতন, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও মুক্তিপণসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে ফজলুল আজিম বক্তব্য দেওয়ায় দস্যুরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবারে সাংসদের হাতিয়া আসার খবর পেয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যানঘাটে সশস্ত্র অবস্থান নেয় তারা।

সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ফজলুল আজিম চেয়ারম্যানঘাট পুলিশ ক্যাম্পের সামনে এসে পৌঁছলে মুন্সিয়া বাহিনীর স্থানীয় কমান্ডার নিজাম ডাকাত, মালেক ডাকাত, এমাল হক, বাঘরাজ, বাহার কেরানী, কুটি কালাম, গরু করিম, জুয়েল বাহিনী, আকবর বাহিনী, সাহাদাত, ফিটার কাশেম, আবদুল হক, কুত্তা বেলাল, শফি বাহিনী ও বেলাল বাহিনীর ২৫-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল তার গাড়ির গতিরোধ করে।

খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ সেলিম ঘটনাস্থলে এলে দস্যুরা তাকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে পরিস্থিতি ভয়াবহ দেখে সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম জেলা সদরে নিজ বাস ভবনে ফিরে যান বলে তার সফর সঙ্গীরা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘জলদস্যু মুন্সিয়া বাহিনীর ব্যাপারে জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেওয়াতে ২০০৯ সালে ঈদুল আযহা পালনের উদ্দেশ্যে হাতিয়া আসার পথে চেয়ারম্যানঘাট এলাকায় ডাকাত বাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে ফিরে যাই। এছাড়া গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে হাতিয়া ফেরার পথে একই স্থানে মুন্সিয়ার সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক লাঞ্ছিত হই এবং আমার ২টি গাড়ী ভাংচুর করা হয়। জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় সেই বাহিনী একইভাবে তৃতীয়বারের মতো আমাকে এবার বাধা প্রদান করে। ’

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার হারুণ-অর-রশীদ হাজারীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, এরা দস্যু নয় ভূমিহীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।