ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

নির্বাচনে পুরোপুরি প্রস্তুত ত্রিপুরা

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৪
নির্বাচনে পুরোপুরি প্রস্তুত ত্রিপুরা

আগরতলা (ত্রিপুরা): আসন্ন লোকসভায় পুরোপুরি প্রস্তুত ত্রিপুরার নির্বাচন দপ্তর। ত্রিপুরার একটি আসনে হবে দেশের প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন।

সুন্দর, ভয়মুক্ত পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ করতে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা আশুতোষ জিন্দাল। ‌

রাজ্যের নির্বাচন কমিশন আশা করছে এবারও রাজ্যে ব্যাপক সংখ্যায় মানুষ ভোট দান করবেন। ২০০৪ সালের লোকসভায় ত্রিপুরায় ভোট দিয়েছিলেন ৬৭.৪ শতাংশ মানুষ। ২০০৯ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৮৪.৫ শতাংশ।  

সব হিসাব পেছনে ফেলে গত বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দেন ৯৩.৬ শতাংশ ভোটার। যা দেশে রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। এবারও ত্রিপুরার মানুষ সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেই ভোট দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা।

রাজ্যে দু’দফায় ভোট হবে ৭ এপ্রিল এবং ১২ এপ্রিল। ৭ এপ্রিল ভোট হবে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের। পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভার ভোট হবে ১২ এপ্রিল। আগেই পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রের পোস্টাল ব্যালট ছাপা হয়ে গেছে৷‌ রোববার পূর্ব আসনের জন্যও পোস্টাল ব্যালট ছাপা শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান শুরু হবে বলে জানালেন আশুতোষ জিন্দাল৷‌

পোস্টাল ব্যালটে ভোট গ্রহণ হবে কাঞ্চনপুরের মিজোরাম শরণার্থী শিবিরগুলিতে৷‌ মিজোরামের একাধিক কেন্দ্রের মোট ১১ হাজার ৫০০ জন ৬টি শিবিরে ভোট দেবেন। মূলতঃ রিয়াং শরণার্থী শিবিরে ভোটের মধ্য দিয়েই রাজ্যে ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হচ্ছে। ‌

এবার ২টি সংসদীয় কেন্দ্রে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷‌ পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে ১৩ জন প্রার্থী রয়েছেন৷‌ পূর্ব ত্রিপুরা কেন্দ্রে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন৷‌

প্রতিদ্বন্দ্বির সংখ্যা বেড়েছে এবারের নির্বাচনে৷‌ ২০০৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনে ২টি কেন্দ্রে ১২ জন প্রার্থী ছিল৷‌ কোনও মহিলা প্রার্থী ছিল না৷‌ ২০০৯ সালে ২টি কেন্দ্রে ১৯ জন প্রার্থী ভোটে অবতীর্ণ হলেও একজন মাত্র মহিলা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন৷‌ এবার ষোড়শ লোকসভা নির্বাচনে ২টি সংসদীয় আসনে তিনজন মহিলা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷‌

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা আশুতোষ জিন্দাল জানান, এখন পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলই ভয়ভীতি প্রদর্শন কিংবা এ ধরনের কোনও অভিযোগ করেনি৷‌ মূলতঃ দুই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আশুতোষ জিন্দাল।

প্রথমত, অনুমতি না নিয়ে কিছু কিছু মিছিল, সভা করেছে একাধিক দল। সে ব্যাপারে অভিযোগ জমা পড়েছে। জিন্দাল জানিয়েছেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্হা নিয়েছি। পরে রাজনৈতিক‌ দলগুলি ভুল স্বীকার করে নিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।