ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

উন্নয়ন দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৪
উন্নয়ন দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক

আগরতলা (ত্রিপুরা) : ভোট বয়কটের ডাক দিল ত্রিপুরার বেশ কয়েক গ্রামের মানুষ। এমনভাবে ঘোষণা দিয়ে ত্রিপুরায় ভোট বয়কট ডাক দেবার রীতি একেবারেই নেই।

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে মানুষ ভোট বয়কটের ডাক দেয়।

কিন্তু ত্রিপুরায় এবারই প্রথম বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ভোট বয়কটের ডাক দিল। তাও আবার উন্নয়নের জন্য।

বেশ কিছুক্ষেত্রে ত্রিপুরা সরকার ভারত সেরার পুরষ্কার পেয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল নির্বাচন প্রক্রিয়া।

এখন পর্যন্ত দেশে যত নির্বাচন হয়েছে তাতে দেখা গেছে ত্রিপুরাতেই ভোট দানের হার সবচেয়ে বেশি। এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী দল দু’তরফেই গর্ব করেন।

কিন্তু এবার হয়তো এই গর্বের জায়গাতেই আঘাত হানতে চলেছেন ত্রিপুরার দুই জেলার কমপক্ষে ছয়টি গ্রামের মানুষ।

ত্রিপুরার উত্তরে উনকোটি এবং উত্তর জেলা। এই দুই জেলার কম করেও ছয় গ্রামের মানুষ ঘোষণা দিয়ে বলেছেন তারা এবার লোকসভা নির্বাচনে কাউকে ভোট দেবেননা।

তারা সম্পূর্ণ ভাবেই ভোট বয়কট করবেন। এক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক ভেদাভেদ নেই। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি সব দলের সব অংশের মানুষ মিলেই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

যে গ্রামগুলির মানুষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার মধ্যে রয়েছে- শিববাড়ি, নুনছড়া, ছইলাপি, ডেমডুম, দারচই বিবিধ। এইসব গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন তাদের এলাকায় উন্নয়নের কাজ থমকে রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে। ভালো রাস্তা নেই। যোগাযোগের বেশ অসুবিধা। ভোটের আগে সব দল উন্নয়নের কথা বলে ভোট নিলেও কাজের কাজ কিছুই করে না। ফলে এবার তারা উন্নয়নের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছেন।

এই ভোট বয়কটের অন্দোলনে বেশ সমস্যায় পড়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা এলাকায় ছুটে গিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে বিরোধী দল কংগ্রেস অনুন্নয়নের জন্য শাসক দল সিপিএমের দিকে আঙ্গুল তুলেছে। ফলে ভোট বয়কট নিয়ে ত্রিপুরার উত্তরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কোন্দল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।