ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরা হাইকোর্টের তিরস্কার রাজ্য সরকারকে

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪
ত্রিপুরা হাইকোর্টের তিরস্কার রাজ্য সরকারকে

আগরতলা (ত্রিপুরা) : ত্রিপুরা হাইকোর্ট তিরস্কার করল রাজ্য সরকারকে। সেই সঙ্গে কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করল রাজ্য সরকারের প্রতি।

ত্রিপুরা হাইকোর্টে রাজ্যের দুটি মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি এবং ছাত্রছাত্রীদের বেতন কাঠামো নিয়ে একটি জনস্বার্থ বিষয়ক মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

সেই মামলার ওপর হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার নিজেদের মতামত জানায়। নিজেদের মতামত জানাতে গিয়েই রাজ্য সরকারের প্রতি কিছুটা কড়া মনোভাব গ্রহণ করে হাইকোর্ট।
ত্রিপুরায় দুটি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। একটি আগরতলা সরকারী মেডিক্যাল কলেজ (এজিএমসি) এবং অন্যটি ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ (টি এম সি)।

এ জি এম সি’তে ভর্তি হওয়া কোন ছাত্রকে বছরে খরচ করতে হচ্ছে এক লক্ষ ৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে টিএমসি’তে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীদের বছরে দিতে হচ্ছে চার লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। দুটি কলেজই চলছে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে।

তথাপি বেতন পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে বিস্তর পার্থক্য। তাছাড়া সারা দেশে মেডিক্যালে ভর্তির ক্ষেত্রে যখন অভিন্ন এন্ট্রান্স নেয়া হচ্ছে তখন টি এম সি’তে ভর্তির জন্য দিতে হচ্ছে আলাদা পরীক্ষা।

এসব নিয়ে গত সোমবার আদালতে জনস্বার্থ বিষয়ক মামলা করেছিলেন রাজ্যের চিকিৎসক অশোক সিনহা। তার হয়ে হাইকোর্টে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট চন্দ্রশেখর সিনহা।

তিনি জানিয়েছেন, সোমবার মামলা করার পর বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলাটি ওঠে। সেখানে ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি ইউ বি সাহা মামলাটি শুনে রাজ্য সরকারকে তিরস্কার করে এবং আগামী ২৪ এপ্রিল কলেজ দুটির বেতন কাঠামো নিয়ে রাজ্য সরকারের মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট চন্দ্রশেখর সিনহা জানিয়েছেন, আসাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া কোন ছাত্রছাত্রীকে বছরে দিতে হয় ১২ হাজার ১৫০ টাকা, মনিপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলে বছরে দিতে হয় ছয় হাজার ৪৭২ টাকা।

সেই জায়গায় রাজ্যের দুটি মেডিক্যাল কলেজেই ভর্তির ক্ষেত্রে অনেক বেশি টাকা নেয়া হচ্ছে। যা কোনভাবেই মানা যায় না। একারণে তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
গত কয়েক মাসে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর মামলা দায়ের হচ্ছে।

প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই মামলা হচ্ছে জনস্বার্থ বিষয়ক। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারকে অস্বস্তির সন্মুখীন হতে হচ্ছে আদালতে। এবারও একই অবস্থা হতে যাচ্ছে বলে অনেকের অভিমত।  


বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।