ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

লোকসভা নির্বাচনের মুখে তৃতীয় ফ্রন্ট!

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৪
লোকসভা নির্বাচনের মুখে তৃতীয় ফ্রন্ট!

আগরতলা (ত্রিপুরা) : লোকসভা ভোটের মুখে ভারত। ভোটের সামনে চলে এল তৃতীয় ফ্রন্টের স্বপ্ন।

গত লোকসভা ভোটে তৃতীয় ফ্রন্টের কথা বলেছিল বামফ্রন্টের প্রকাশ কারাতরা। কিন্তু আলোর মুখ দেখেনি।  

এবার নিজেদের সঙ্গে আরও ১১ দলকে নিয়ে গড়তে চলেছে নতুন ব্লক। যার অর্থ সেই তৃতীয় ফ্রন্ট। এই তৃতীয় ফ্রন্টের কথা সামনে আসতেই কংগ্রেস-বিজেপি সমস্বরে এর বিরোধিতা করছে। বলছে ভারতের রাজনীতিতে এ ধরনের জোটের কোন ভবিষ্যৎ নেই।

অন্য দিকে তৃতীয় ফ্রন্টের স্বপ্ন উস্কে বেশ আশাবাদী সীতারাম ইয়েচুরি এবং শারদ যাদবরা। বুধবার সংসদ ভবনে বৈঠকে বসে এগারোটি অকংগ্রেসি-অবিজেপি দলের প্রতিনিধিরা৷ গত বছর অক্টোবরে দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সম্মেলনে একমঞ্চে উপস্থিত হয়েছিল অকংগ্রেসি-অবিজেপি দলগুলি।

সেদিন তৃতীয় বিকল্পের ঘোষণা না করলেও মোদি-বিরোধিতার বার্তা দেওয়া হয়েছিল৷ লোকসভা ভোট সামনে রেখে দু’দিন আগেই তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকের সঙ্গে জোট বেঁধেছে সিপিএম ও সিপিআই। এই পরিস্থিতিতে এ দিনের বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আগ্রহ ছিল তুঙ্গে।

বৈঠকে ছিলেন চার বাম দল, সমাজবাদী পার্টি, জনতা দল ইউনাইটেড, এআইএডিএমকে, আসাম গণপরিষদ, জনতা দল সেকুলার, বিজু জনতা দল ও ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার প্রতিনিধিরা।

তবে এদিনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তৃতীয় বিকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়নি। ইয়েচুরি জানান, প্রাথমিক ভাবে তাদের লক্ষ্য বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদে একজোট হয়ে সরব হওয়া।

এদিকে ১১ দলের জোট বাধার খবর সামনে আসতেই সরব হয়েছে দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরব বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী বুধবার কলকাতার ব্রিগেড সমাবেশ থেকে তীব্র বিদ্রুপ করেন তৃতীয় জোটের ফর্মূলাকে। দলের সভাপতি রাজনাথ সিং বললেন, যারা সব জায়গায় তিন নম্বর দল, তারাই তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ছে।

আর মোদী বলেন, তৃতীয় ফ্রন্টের জন্যই উন্নয়নে পিছিয়ে পড়েছে পূর্ব ভারত। বিজেপির বলবীর পাঞ্জ সাংবাদিকদের জানান, এই তৃতীয় ফ্রন্ট প্রতিবার নির্বাচনের আগে গড়ে ওঠে। যার কোন সারবত্তা নেই।

কিন্তু তৃতীয় ফ্রন্টের মধ্যে থাকা দলগুলি এই জোট নিয়ে খুব আশাবাদী। জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা কেসি ত্যাগী জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে এই তৃতীয় ফ্রন্টই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তিশালী ফোর্স।

সমাজবাদী পার্টির নরেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন দেশের মানুষ কংগ্রেস এবং বিজেপির ওপর বীতশ্রদ্ধ। তাদের মোহভঙ্গ হয়েছে এই দুই দলের ওপর। তাই তারা নতুন কিছু দেখতে চায়।

২০০৯ সালেও লোকসভা নির্বাচনের আগে গঠিত হয়েছিল থার্ড ফ্রন্ট। কিন্তু ভোটের পর দেখা গেছে- থার্ড ফ্রন্টে যোগ দেয়া দলগুলি ভিড়ে গেছে কংগ্রেস বা বিজেপির দিকে। এবার থার্ড ফ্রন্টের স্বপ্ন কতদূর এগোয় তার দিকে তাকিয়ে দেশের আম আদমি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।