ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ঘ্রাণ শুঁকে জঙ্গি চেনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪
ঘ্রাণ শুঁকে জঙ্গি চেনা

কলকাতা: শুধু ঘ্রাণশক্তির জোরেই পাকড়াও করা যাবে যে কোনও জঙ্গিকে। গায়ের রং তাদের এতটাই মিশকালো যে অতি সহজেই মিশে যেতে পারে নিকষ অন্ধকারে।



চলাফেরায় নিঃশব্দ ক্ষিপ্রতা। প্রত্যেকের বয়স প্রায় চার বছর। বুদ্ধির প্রখরতা এতটাই যে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে সহজেই চিহ্নিত করতে পারে যে কোনও ধরনের মানুষকে।


এই গোয়েন্দারা প্রত্যেকেই সারমেয়। জাতে বিদেশি। জার্মান শেপার্ড, রুটহুইলার ও ল্যাবরেডর। বিশেষজ্ঞদের মতে, কমপক্ষে কুড়ি হাজার গন্ধ ধরা পড়ে তাদের প্রখর ঘ্রাণশক্তিতে।

যার ফলে জনবহুল এলাকা থেকে শুরু করে পাঁচতারা হোটেল, সাধারণের মাঝে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের অতি সহজেই চিহ্নিত করার পর তাদের কাবু করে ফেলতে পারে এরা। সন্ত্রাসবাদ দমনে বিএসএফ-এর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ছ'টি বিদেশি গোয়েন্দা কুকুর এবার যোগ দিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ট্রাস্ক ফোর্স বা এসটিএফে।


২৬/১১-এ কাশভদের মুম্বাই হামলার ভয়াবহ সেই ঘটনার পর থেকেই জঙ্গিদের আগাম সন্ধানে এই ধরণের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিদেশি গোয়েন্দা কুকুরের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন পুলিশ কর্তারা।

এর পরই শহরে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খুঁজে বের করতে কলকাতা পুলিশের এসটিএফে কেনা হয় দশটি কুকুর। শুরু হয় প্রশিক্ষণ। কিন্ত জঙ্গি সন্ধানের প্রশিক্ষণে ফেল করে চারটি কুকুর। পাস করা ছ'টি কুকুরকে বাছাই করার পর বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে পাঠানো হয় বিএসএফ-এর কাছে।

সেই প্রশিক্ষণ নিয়ে কিছুদিন আগেই ছ'টি বিদেশি কুকুর ফিরে এসে যোগ দেয় এসটিএফের কাজে। ওই ছ'টি কুকুর এখন রয়েছে দক্ষিণ কলকাতায় এসটিএফের বেস-এ।
ভিড়ের মাঝে কীভাবে জঙ্গিদের আলাদা করে চিহ্নিত করবে এরা?

এসটিএফের এক শীর্ষকর্তা জানান, বিএসএফ ক্যাম্পে সেইভাবেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে তাদের। প্রখর দৃষ্টি ও বুদ্ধির জোরে যে কোনও মানুষের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখেই তাদের ‘মোটিভ' ধরে ফেলে এরা।

এরপর জঙ্গিদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকের গন্ধ মুহূর্তের মধ্যে ধরা পড়ে যায় গোয়েন্দা কুকুরের ঘ্রাণশক্তিতে। এর ফলে মুম্বাম্বইয়ের মতো কলকাতাতেও কোথাও জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকলে তাদের খুঁজে বের করতে কাজে লাগানো হবে এসটিএফের এই ‘কাউণ্টার ইণ্টেলিজেন্স ডগ স্কোয়াড'কে।

শুধু হোটেল নয়, জনবহুল যে কোনও বাজার, বাসস্ট্যান্ড বা রেল স্টেশনেও জঙ্গি সন্ধানে পাঠানো যেতে পারে ওই ছ'টি কুকুরকে। এই গোয়েন্দা কুকুররা যখন অপারেশনে যাবে, তখন অর্ডার শুনবে শুধুমাত্র দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিশের এসটিএফ কমান্ডোর।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।