ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পুরোনো মুদ্রা উঠিয়ে নিচ্ছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৪
পুরোনো মুদ্রা উঠিয়ে নিচ্ছে ভারত

ঢাকা: ২০০৫ সালের আগে ইস্যুকৃত সব মুদ্রা বাজার থেকে উঠিয়ে নিচ্ছে ভারত সরকার। সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্য রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) এক ঘোষণায় এ কথা জানিয়েছে।

চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে এসব মুদ্রা প্রত্যাহার শুরু হবে।

এজন্য ভারতীয়দের কাছে ওই সময়ের আগে যেসব নোট রয়েছে তা ১ এপ্রিল থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে রূপান্তর (এক্সচেঞ্জ) করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শনিবার ভারতের এনডিটিভি এক খবরে এমন তথ্যই জানিয়েছে।

২০০৫ সালের পূর্বের নোট চেনার উপায়: জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্ত দূর করার জন্য ২০০৫ সালের পূর্বে বাজারে যেসব মুদ্রা ছাড়া হয়েছে তা চেনার উপায়ও বাতলে দিয়েছে আরবিআই। ব্যাংকটি জানায় যেহেতু ২০০৫ সালের আগের মুদ্রার উল্টো পিঠে ছাপানোর সাল নেই তাই যে কেউ সহজেই এই মুদ্রাগুলোকে আলাদা করতে পারবেন। অর্থাৎ ২০০৫ সালের পর সকল মুদ্রাই ছাপানোর বর্ষ উল্লেখ আছে। আরো সহজভাবে বলতে গেলে ছাপানোর সাল উল্লেখ নেই এমন মুদ্রা প্রত্যাহার করছে ভারত সরকার। মুদ্রার অপর পিঠে ঠিক ভাজের মাঝামাঝি সাল উল্লেখ থাকে।

তার মানে কি নির্দিষ্ট সময় গড়ানোর পর এসব মুদ্রার কোনো আর্থিক মূল্য থাকবে না? কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই বিষয়টিও পরিষ্কার করেছে। তারা জানায়, ২০০৫ সালের আগের নোটের বাজার মূল্য না থাকলেও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঠিকই ব্যাংকের মাধ্যমে এসব মুদ্রা এক্সচেঞ্জ করতে পারবেন। তার মানে ২০০৫ সালের আগের নোট শুধু ব্যাংকেই গৃহীত হবে।

কিন্তু হঠাৎ বাজার থেকে মুদ্রা প্রত্যাহারের মতো এমন সিদ্ধান্ত কেন নিতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকটির গর্ভনর রঘুরাম রাজন এ বিষয়ে বলেন, নিরাপত্তার কারণেই এসব নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পক্ষপাতী অর্থমন্ত্রী।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তারা এই প্রক্রিয়াকে ‘গরিব-বিরোধী’ উল্লেখ সরকারের একহাত নিয়েছেন। এর মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষ ও যাদের ব্যাংক হিসাব নেই তাদেরকে টার্গেট করা হয়েছেও বলে অভিযোগ করে বিজেপি।

বিজেপি মুখপাত্র মিনাক্ষী লক্ষ্মী বলেন, বর্তমান স্কিমের উদ্দেশ্যেই হচ্ছে বাজার থেকে সরকারের কালো টাকা প্রত্যাহার করে নেওয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।