ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরায় বামফ্রন্টে বিবাদ

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৪
ত্রিপুরায় বামফ্রন্টে বিবাদ

আগরতলা (ত্রিপুরা): নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বস‍ুর জন্মদিন উদযাপন ঘিরে বামফ্রন্টের শরীকদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়েছে। বামফ্রন্টের শরীক দল ফরওয়ার্ড ব্লকের অভিযোগ সরকার তাদের  কুমারঘাটে নেতাজীর জন্মদিন উদযাপন করতে দেয়নি।



বৃহস্পতিবার সারা রাজ্যে উদযাপিত হয় নেতাজীর ১১৮তম জন্মদিন।

এ বিষয়ে ফরোয়ার্ড ব্লকের অভিযোগের আঙুল সিপিএমের দিকে। মহকুমা প্রশাসন তাদের স্থানীয় নেতাজী স্কোয়ারে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়নি বলেও অভিযোগ করেছে তারা।  

এদিকে সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনকে জাতীয় দেশপ্রেম দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে রাজ্যের বামপন্থী দলগুলো। ত্রিপুরায় সিপিআই (এম)সহ বামপন্থী দলগুলো অবশ্য আগে থেকেই দিনটিকে দেশপ্রেম দিবস হিসাবে উদযাপন করে আসছে।

আগরতলায় নেতাজীর জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও সামাজিক সংস্থা অংশ নেয়।

এছাড়া সকালে রাজ্যের রাজধানী নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী ভানুলাল সাহা।

এ সময় তিনি বলেন, নেতাজীর আদর্শ ছেলে-মেয়েদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া হলে  তাঁর জন্ম দিন উদযাপন সার্থক হবে।

এছাড়া নেতাজীর জন্ম দিন উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।

১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি উড়িষ্যার কটকে জন্মগ্রহণ করেন সুভাষ চন্দ্র বসু। উপমহাদেশে তিনি নেতাজী নামেই সর্বাধিক পরিচিত। তিনি পরপর দুইবার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। কিন্তু মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে আদর্শগত অমিল এবং কংগ্রেসের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতির সঙ্গে মিল না হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেন।

সুভাষচন্দ্র মনে করতেন ভারতের স্বাধীনতা আনার ক্ষেত্রে কেবল গান্ধীজীর অহিংসার নীতিই যথেষ্ট নয়। একারণে তিনি সশস্ত্র বিদ্রোহের পক্ষপাতী ছিলেন বলে ফরওয়ার্ড ব্লক নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতের স্বাধীনতার করার দাবি জানানো এ মহান নেতাকে ব্রিটিশ সরকার এগারো বার কারারুদ্ধ করে।

তাঁর বিখ্যাত উক্তি ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো। ’

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি ব্রিটিশদের দুর্বলতা মনে করে  সুবিধা আদায়ের একটি সুযোগ হিসেবে দেখেন। তিনি লুকিয়ে ভারত ত্যাগ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন, জার্মানি ও জাপান ভ্রমণ করে ভারতে ব্রিটিশদের ‍াবরুদ্ধে আক্রমণে সহযোগিতার কথা বলেন।

মনে করা হয়- ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট তাইওয়ানে এক বিমান দুর্ঘটনায় মহান এ নেতার মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।