ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

চাকরি না পেয়ে সিপিএম অফিসে ভাঙচুর

আগরতলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৪
চাকরি না পেয়ে সিপিএম অফিসে ভাঙচুর

আগরতলা (ত্রিপুরা): চাকরি পাওয়ায় ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্নস্থানে যেমন বেকারদের মধ্যে খুশীর হাওয়া তেমনি অনেক জায়গায় বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ। যারা এ সুযোগ পাননি তারা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন।



ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে সিপিএম পার্টি অফিস ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে। এমনই একটি ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার উদয়পুরে। সেখানকার জয়ন্তীবাজারের সিপিএম পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দলীয় কর্মী সমর্থকরা।
গত সপ্তাহে রাজ্যে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক পদে শিক্ষক নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়  রাজ্য সরকার। প্রাথমিক শিক্ষক পদে ৪৬০৬ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন  স্কুল শিক্ষা মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী।

সেই ঘোষণা মত ছাড়া হয় চাকরির অফার। শুক্রবার থেকে অফার ছাড়া হয়। মঙ্গলবারের মধ্যে সমস্ত নিয়োগ পত্র ছেড়ে দেয় রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর। ত্রিপুরায় গত ১৭ বছর ধরে প্রাথমিক শিক্ষক পদে কোন নিয়োগ হয়নি।

রাজ্য সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়ার ঘোষণা দিতেই রাজ্যের যুবকদের মধ্যে ছিল খুশির হাওয়া। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগপত্র পৌঁছতেই শুরু হয় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। কারণ অনেকের ভাগ্যেই জোটে নি সরকারি চাকরির অফার।

উদয়পুর মহকুমায় পৌছায় ৩৯৩টি অফার। কিন্তু অনেক চাকরি প্রত্যাশীর ভাগ্যে এই অফার জোটেনি। যার অন্যতম কারণ রাজ্যে বেকার সংখ্যার তুলনায় যে পরিমাণ সরকারি চাকরি দেয়া হচ্ছে তা নিতান্ত নগণ্য।

মঙ্গলবার রাতে উদয়পুর মহকুমার দক্ষিণমুড়াবাড়ি গ্রামে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রায় শ’ দুয়েক যুবক। তারা সেখানকার স্থানীয় সিপিএম অফিস ভাঙচুর চালান।

অফিসের ভেতরে থাকা যাবতীয় চেয়ার-টেবিল-আলমিরা- টিভি ভেঙে ফেলে উত্তেজিত যুবকরা। সিপিএমের যুব সংগঠনের স্থানীয় নেতা সুকুমার ভৌমিক জানিয়েছেন তাদের গ্রামে গেছে মাত্র দু’জনের নিয়োগপত্র। অনেকেই আশা করেছিলেন এবার হয়তো সরকারি চাকরি পাবেন। না পেয়ে তারা হতাশ। অনেকের বাড়িতে গত দুদিন ধরে চলছে কান্না। সিপিএম অফিস আক্রান্ত হবার ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন এলাকার পার্টি নেতা নিকুঞ্জ দেবনাথ। তিনি নিজেও ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছেন।

এর আগেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০০২, ২০০৬ এবং ২০০৯ সালে তিনবার ইন্টারভিউ নেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়গের জন্য। কিন্তু কোনবারই নিয়োগ করা হয় নি শিক্ষক। প্রতিবারই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকার নিয়োগ করতে দিচ্ছে না।

কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োগ বন্ধের ফতোয়ার মুখে শিক্ষক নিয়োগ করা যাচ্ছে না। কিন্তু এবার নিয়োগ পত্র ছাড়ার পর সমস্যায় পড়ল সিপিএম তথা রাজ্য সরকার। যারা চাকরি পান নি তাদের ক্ষোভের মুখে সরকার।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৩,
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, আউটপুট এডিটর কো-অর্ডিনেশন  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।