চট্টগ্রাম: খলিফাপট্টিতে ৬ দশক আগে গড়ে উঠেছিল থান কাপড় ও সেলাইয়ের মার্কেট। ছোট-বড় ৪ শতাধিক এসব দোকানে রমজানের শুরু থেকে ঈদের পোশাক তৈরিতে কারিগরদের থাকে রাত-দিনের ব্যস্ততা।
জানা যায়, খলিফাপট্টির পোশাক কারখানাগুলোর বিশেষত্ব কম মূল্যে রুচিশীল পোশাক তৈরি। মূলত ঢাকার ইসলামপুর ও চট্টগ্রামের টেরিবাজার থেকে কাপড় সংগ্রহ করে নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি করা এসব পোশাকের বেশ কদর রয়েছে। তাই এখান থেকে চট্টগ্রাম জেলা ছাড়াও আশপাশের জেলা শহর থেকে ব্যবসায়ীরা ডিজাইন ও সেলাই করা কাপড় কিনে নেন। নূন্যতম ২০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকায় এখানে তৈরি হয় পোশাক। তাই ঈদের ২-৩ মাস আগে থেকেই ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়তে থাকে এ মার্কেটে।
কারিগররা জানান, রমজান শুরু হওয়ার আগ থেকেই ব্যস্ততা বাড়ে এ মার্কেটে। প্রতিটি কারখানায় ১০-১২ জন কারিগর কাজ করলেও ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত কারিগর নেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে সেহেরির আগ পর্যন্ত কাজ চলছে কাজ। এখনও অর্ডার নিয়ে আসছেন ক্রেতারা।
খলিফাপট্টির আঁখি ফ্যাশনের কারিগর জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, আলাদাভাবে কাটিং মাস্টার, ডিজাইনার না থাকা এবং সস্তা শ্রমের কারণেই মূলত এখানে কম টাকায় পোশাক তৈরি করা যায়। যে কোনো ডিজাইন একবার দেখলেই আমরা অবিকল পোশাক তৈরি করতে পারি। নিজেরাই ডিজাইনার, নিজেরাই কারিগর।
খলিফাপট্টি বণিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইমাম হোসেন বলেন, অগ্রিম অর্ডার নিয়ে কাজ করা হয় বলে এখানে ঈদে কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। খালিফাপট্টির কারিগররা বাজারে প্রচলিত সব ডিজাইনের কাপড় সেলাই করতে পারেন। কাপড়ের গুণগত মানও অনেক ভালো। সেই তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে কাপড়ের দাম তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।
জনশ্রুতি আছে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আইয়ুব আলী নামের এক ফেরিওয়ালা ১৯৪৭ শেষের দিকে নিজ গ্রামের কিছু লোকজন এনে প্রথম খলিফাপট্টিতে কাপড় তৈরির কাজ শুরু করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৫
এমআর/পিডি/টিসি