চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষক ও সাংবাদিকরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীদের হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার ঘটনায় ১০ ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় চবি উপাচার্যের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বাংলানিউজকে বলেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চবির শেখ হাসিনা হলে ছাত্র-ছাত্রীদের বিবাদে জড়ানোর খবর পেয়ে দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া সিনিয়র সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. কোরবান আলীর গায়ে হাত তোলার অপরাধে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমিকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তার সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া একই সময় অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় আরও ৯ জনকে ২ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি ধর্ম অবমাননা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে একজন ছাত্রকে ২ বছরের জন্য এবং এক ছাত্রীকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃতদের তালিকা রাতে প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চবির শেখ হাসিনা হলের 'নৌকা প্রতীক' ও শেখ হাসিনার ম্যুরাল ভাঙতে গেলে হলটির নারী শিক্ষার্থীদের বাধার সম্মুখীন হন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এসময় হলের নারী শিক্ষার্থী ও বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিবাদে জড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলীর গায়ে হাত তোলেন শেখ হাসিনা হলের শিক্ষার্থী আফসানা এনায়েত এমি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
এমএ/পিডি/টিসি