ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে হেলমেট পরেন ৫৬ ভাগ মোটরসাইকেল আরোহী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
চট্টগ্রামে হেলমেট পরেন ৫৬ ভাগ মোটরসাইকেল আরোহী ...

চট্টগ্রাম: সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত কমাতে আধুনিক প্রয়োজন প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং অবাকাঠামোর সার্বিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) নগরের একটি হোটেলে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এবং ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের সহায়তায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং জন্স হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিটের যৌথভাবে একটি কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন মেয়র।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, কেবল আইন বা শাস্তি দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু সম্পূর্ণরূপে ঠেকানো সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের গবেষণাভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং প্রয়োজনে বিদ্যমান অবকাঠামোর ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রয়োজন।

আজকের এ গবেষণার তথ্য আমি নগরের সড়ক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে কাজে লাগাবো।

ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেইফটি ২০২০-২০২৫ (বিআইজিআরএস) এর অংশ হিসেবে জন্স হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট তাদের স্থানীয় অংশীদার সিআইপিআরবির সঙ্গে মে ২০২২ থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে সড়ক নিরাপত্তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের জন্য পর্যায়ক্রমে রোডসাইড অবজারভেশনাল স্টাডি পরিচালনা করেছে। উক্ত স্টাডির ফলাফল কর্মশালায় তুলে ধরা হয়।

জন্স হপকিন্স ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরি রিসার্চ ইউনিট থেকে ডা. শিরিন ওয়াধানিয়া এবং সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ থেকে ডা. সেলিম মাহমুদ চৌধুরী গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন।  
তাদের প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, গবেষণার সময়কালে মোট ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮৭২টি নমুনা পর্যবেক্ষণ করা হয়।  

কর্মশালায় গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানানো হয় চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাত্র ৫৬ শতাংশ হেলমেট ব্যবহারের করেন। অন্যদিকে গাড়ি ব্যবহারকারীদের মধ্যে সিটবেল্ট ব্যবহারের হার মাত্র ১৫ শতাংশ। এছাড়াও প্রায় ৪০ শতাংশ যানবাহন অনুমোদিত গতির বেশি গতিতে চলতে দেখা যায়।  

সভায় সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা  শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিআইজিআরএস- এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনা মোকাবেলায় কাজ শুরু করেছে। তিনি প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত কার্যক্রম পরিকল্পনা করার সময় রোডসাইড অবজারভেশনাল স্টাডি-এর ফলাফল ব্যবহার করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং কর্মশালার সকল অংশগ্রহণকারীদেরকেও তা করার জন্য অনুরোধ করেন।  

সভায় বিশেষ অতিথির  বক্তব্যে  চসিকের প্রধান প্রকৌশলী জনাব রফিকুল ইসলাম বলেন,  সড়ক দুর্ঘটনার ফলে বাংলাদেশ বিশেষ করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এছাড়াও তিনি তার এলাকায় সড়ক এলাকায় সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের গৃহীত উদ্যোগ ও চলমান কার্যক্রমের কথা জানান।

সিআইপিআরবির ডেপুটি ম্যানেজার (এম অ্যান্ড ই) কাজী বোরহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কাজী হুমায়ূন রশিদ, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমানসহ সিসিসি, সিডিএ ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

 এছাড়াও বাংলাদেশের বিআইজিআরএস এর ঢাকা ও চট্টগ্রামের কর্মকর্তাবৃন্দ, যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।