ঢাকা, শনিবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১, ২২ মার্চ ২০২৫, ২১ রমজান ১৪৪৬

শিক্ষা

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা অমার্জনীয় অপরাধ: সাদা দল

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১১ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা অমার্জনীয় অপরাধ: সাদা দল

ঢাকা: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।  

পাশাপাশি অবিলম্বে ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং বিশ্ববাসীকে ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়েছে সংগঠনটি।

 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গণমাধ্যমে সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুস সালাম ও অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকারের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

তারা বলেন, ফিলিস্তিন অতি প্রাচীন ও স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র। কিন্তু বেআইনি ও দখলদার ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল সেখানে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে ফিলিস্তিনের মানচিত্র মুছে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে একের পর এক ধ্বংসযজ্ঞ এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তারা আরও বলেন, এমনিতেই দীর্ঘ ১৫ মাসের টানা যুদ্ধে ফিলিস্তিনকে মৃত্যু উপত্যকা বানিয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের গাজাসহ কয়েকটি অঞ্চল যেন বোমার আঘাতে বিধ্বস্ত। সর্বশেষ পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই সে বোমা হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা নিঃসন্দেহে গণহত্যা। অসংখ্য মানুষ ও নিষ্পাপ শিশুর মৃতদেহ দেখার মতো নয়। আহতরা বীভৎস চেহারা নিয়ে কাতরাচ্ছেন। ঠিকমতো চিকিৎসাও পাচ্ছেন না। ইসরায়েলের এমন বেআইনি ধ্বংসযজ্ঞ অমার্জনীয় অপরাধ।

নেতারা বলেন, ফিলিস্তিনের নিরীহ নারী-পুরুষ ও শিশুর মৃত্যু পুরো বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিলেও তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা রাষ্ট্র আমেরিকা ও ইসরায়েল একেবারেই যেন বধির। অবরুদ্ধ গাজাবাসীর আহত মানুষের আর্তচিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছে দুনিয়ার আকাশ। প্রতিদিনই ইসরায়েলের বোমা হামলায় বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। তছনছ হয়ে গেছে ফিলিস্তিনের বাড়ি-ঘর ও আসবাবপত্র। ফিলিস্তিনিদের সামনে দুঃসহ বিপদ। ঠিকমতো দুই বেলা দুই মুঠো খেয়ে জীবন ধারণই তাদের এখন হুমকির মুখে।

তারা বলেন, এমন অবস্থায় আমরা বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানাই, তারা যেন দখলদার ও বেআইনি রাষ্ট্র ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। সেইসঙ্গে বহুজাতিক সংগঠন জাতিসংঘকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী নিরীহ ফিলিস্তিনিদের পাশে খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়াতে হবে। অবিলম্বে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ অধিকার ও মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৫
এফএইচ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।