ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

হাঁটতে বেরিয়ে হামলার শিকার বিজেপি নেতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
হাঁটতে বেরিয়ে হামলার শিকার বিজেপি নেতা

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক উত্তাপ তত বাড়ছে। দুষ্কৃতিদের হামলার শিকার হলেন আগরতলার ৯নং বনমালীপুর মন্ডলের ক্ষমতাসীন বিজেপির তপশিলি জাতি মোর্চার সভাপতি সুমন দাস।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সাত সকালে হাঁটতে বেরিয়ে হামলার শিকার হন তিনি।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে আগরতলা মেডিকেল কলেজ এবং জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মুখমন্ডল ও মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন।

ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা, ত্রিপুরা বিধানসভার স্পিকার রতন চক্রবর্তী, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, সদর শহরাঞ্চল জেলা কমিটির সভাপতি অসীম ভট্টাচার্য প্রমুখ।  

মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসময় অন্যান্য ডাক্তারদের সঙ্গে দলীয় কর্মীর চিকিৎসায় হাত লাগান।

তিনি বলেন, বিরোধী কংগ্রেস দলের দুষ্কৃতিরা এই হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত। গুরুতরভাবে জখম করা হয়েছে তাকে। মুখের একাধিক হাড় ভেঙ্গে দিয়েছে।  

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে এমন রাজনীতি আগে হতো। মধ্যে বন্ধ ছিলো। এখন বামদের সঙ্গে মিলে কংগ্রেস কর্মীরা আবার এই রাজনীতি শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ তাদের এসব কাণ্ড দেখছে। তারা নিজেরা মুখে আইনশৃঙ্খলার কথা বলে, আর নিজেরাই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ওদের কাজই হচ্ছে মানুষকে খুন করা। মানুষ এর থেকে মুক্তি চেয়েছিলো এবং ২০১৮ সালে মুক্তি লাভ করে। এখন নতুন করে বাম কংগ্রেস মিলে রাজ্যের পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা করছে।

এসব কাজের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না জানিয়ে ডা. মানিক সাহা বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। আইন আইনের গতিতে চলবে। বিজেপি থেকে এক প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত অভিযোগ জানাবেন।  

পাশাপাশি এ ধরনের হামলার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বিজেপি রাজনৈতিকভাবে লড়বে বলেও জানান তিনি।

আহত সুমন দাস তার ওপর হামলাকারীদের চিনতে পেরেছেন এবং কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
এসসিএন/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।