আগামী ৮-১৫ মার্চ ইতালির তুরিনে অনুষ্ঠিত হবে উইন্টার অলিম্পিক। সেখানে অংশ নেবে ফ্লোরবল দল।
১৪ সদস্যের কন্টিনজেন্ট হলেও মূল খেলোয়াড় দেখানো হয়েছে আটজনকে। যদিও মাঠে খেলবে মাত্র চারজন। ১৪ জনের মধ্যে ছয়জনই কোচ ও কর্মকর্তা। দলের সঙ্গে যাওয়া দম্পত্তি হলেন সাবেক দুই তারকা শাটলার কামরুন নাহার ডানা ও শেখ আবুল হাশেম। প্রথমজন যাচ্ছেন সহকারী হেড অব ডেলিগেট এবং দ্বিতীয়জন যাচ্ছেন হেড অব ডেলিগেট হিসাবে।
ফ্লোরবল আইস (বরফ) হকির মতো একটি খেলা। তবে সেখানে কোন আইস নেই। প্লাস্টিকের স্টিক এবং পারফরেটেড বলে খেলা হয়। প্রত্যেক দলে গোলকিপারসহ চারজন খেলোয়াড় থাকেন। দলের খেলোয়াড়রা হলেন- ফাতেমা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, ফাবিয়া খাতুন, অনিতা খাতুন, তানমুন ইসলাম, তানজিলা খাতুন, মুক্তা আক্তার ও তামাল্লিন।
প্রধান কোচ হিসাবে জাহিদ হোসেন, কোচ হিসাবে ফরিদা ইয়াসমিন, মেডিকেল স্টাফ নিশাত পারভীন, এডিশনাল স্টাফ সুবর্ণা চাকমা। তবে লক্ষ্যনীয় যে, এই দলের সঙ্গে হেড অব ডেলিগেট হিসাবে যাচ্ছেন সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় শেখ আবুল হাশেম এবং সহকারী হেড অব ডেলিগেট হিসাবে যাচ্ছেন তারই সহধর্মীনী ও সাবেক তারকা শাটলার কামরুন নাহার ডানা। যা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে ক্রীড়াঙ্গণে।
স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের অন্যতম পরিচালক মো. ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘স্পেশাল অলিম্পিকের সঙ্গে যুক্ত ডানা। তাই সে যাচ্ছে। আর বিশেষ ক্রীড়াবিদদের জন্য কোন প্রকারসরকারী আদেশের (জিও) প্রয়োজন পড়ে না। কারন সরকার কোন অর্থ দেয় না। স্পেশাল অলিম্পিকস বাংলাদেশের অর্থেই খেলতে যাচ্ছে তারা। ’
১৪ দলের মধ্যে ছয়জন কর্মকর্তা কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক ফারুকুল ইসলাম বলেন, ‘স্পেশাল খেলোয়াড়দের সঙ্গে একজন করে সহকারী যেতে হয়। সেখানে আট জনের সঙ্গে যাচ্ছে ছয়জন। অনেক কম। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৫
এআর/আরইউ