ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইসি গঠনে আইন করতে লাগে ১ দিন: মেনন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
ইসি গঠনে আইন করতে লাগে ১ দিন: মেনন রাশেদ খান মেনন। ফাইল ফটো

ঢাকা: নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের আগে সংবিধানের নির্দেশনা অনুসারে এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। একদিনেই ইসি গঠনে আইন করা সম্ভব বলে মনে করেন দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

 

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে বঙ্গভবনে সংলাপে অংশ নিয়ে এ দাবি জানায় ওয়ার্কার্স পার্টি।

দলটির সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের জোটসঙ্গী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

সংলাপ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বঙ্গভবনের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের সঙ্গে রাশেদ খান মেনন বলেন, ইসি নিয়ে তিন দফা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ হচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্য যে একই বিষয় নিয়ে তিনবার আসতে হলো।

তিনি বলেন, ২০১১ সালে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। ২০১৬ সালে একই প্রস্তাব দিয়েছি। আজও সেই প্রস্তাবই পুনরায় রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া হয়েছে।
ইসি গঠনে আস্থাহীনতা দূর করতে হলে আইন করতেই হবে মন্তব্য করে রাশেদ খান মেনন বলেন, রাষ্ট্রপতিও মনে করেন, ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন ফরজ হয়ে গেছে।

একদিনেই আইন করা সম্ভব জানিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের আইন একরাতেই তৈরি করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আপিল সংক্রান্ত সংবিধানের সংশোধনী আনতেও সময় লাগেনি।

বছরের শুরুতে সংসদ অধিবেশনে আইন গঠনের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি নির্দেশনা চেয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বছরের শুরুতে জাতীয় সংসদের অধিবেশন বসবে। রাষ্ট্রপতি অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন। সে সময় ইসি গঠনে আইনটি তোলার বিষয়ে নির্দেশনা দিতে পারেন।

ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের বিষয়ে আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দলের সম্মতি আছে জানিয়ে মেনন বলেন, রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নিতে পারেন। নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও বুদ্ধিজীবীদের মতামত নিতে পারেন। এ ছাড়া সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) শামসুল হুদার আমলে আইনের একটি খসড়া তৈরি করাই আছে। ওই খসড়াটি ধরেই আইন প্রণয়ন সম্ভব।

আইনের বিষয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনে একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল রাখা যেতে পারে। এতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে এই সাংবিধানিক কাউন্সিল হতে পারে। এই কাউন্সিল সিইসি ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাব করবে।

কোনো কোনো রাজনৈতিক দল সংলাপকে নাটক বলছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, যারা নাটক বলছে, তারা নাটকের বিপরীতে কিছু করে দেখাক।

ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন- আনিসুর রহমান মল্লিক, মাহমুদুল হাসান মানিক, নুর আহমেদ বকুল, কামরুল আহসান, আলী আহমেদ এনামুল হক ও নজরুল ইসলাম হাক্কানী।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
এমইউএম/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।