ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

চ্যারিটেবল মামলায় এখতিয়ারবিহীন বিচার হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮
চ্যারিটেবল মামলায় এখতিয়ারবিহীন বিচার হচ্ছে আদালতে খালেদা জিয়া/ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় এখতিয়ারবিহীন বিচার হচ্ছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। 

তিনি আদালতকে বলেন, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কেউ তো এসে বলছে না যে, উনি আমার কাছ থেকে ফোর্স করে টাকা নিয়ে গেছে। এমনকি ওনাদের (রাষ্ট্রপক্ষ) ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে কোনো একজন ব্যক্তিও এসে অভিযোগ করেননি।

তাহলে এ মামলা কিভাবে টিকে থাকে? তাছাড়া উনারা যে অজানা উৎসের কথা বলছেন, কিন্তু তা কোথায় আছে তা জানেন না। প্রকৃত উৎসের কথা আমরা তো বলছি যে এ ফান্ডের সব টাকা দলীয় ফান্ড থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আসামি খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে টানা তৃতীয় দিনেরমত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে আদালতে তিনি এসব কথা বলেন।  

এই আইনজীবী আরও বলেন, ওনারা (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) শুধু বলছেন যে, অবৈধ উৎস হতে টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু এর কোনো ডকুমেন্ট নেই। ওনারা সেই উৎসের কোনো ডকুমেন্ট দিতে পারছেন না। নিজেই বলছেন যে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। তাহলে তো মামলা নাই।  

‘তাছাড়া আমরা তো মৌখিকভাবেই শুধু বলছি না। আমরা ডকুমেন্ট সহ আদালতে উপস্থাপন করছি যে, এ টাকা পার্টি ফান্ড থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। ’

তিনি আরও বলেন, এটি সম্পূর্ণরূপে একটি ব্যক্তিগত ট্রাস্ট। এটা নিয়ে কেন প্রসিকিউশনের মাথাব্যথা হবে। ১৯৯৩ সালে ট্রাস্ট নিয়মকানুন মেনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এটি গঠন করা হয়েছিল। তখন ট্রাস্টের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল ফকিরাপুল। পরবর্তীতে লেনদেনের সুবিধার্থে এটিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।  

কোনো ক্ষমতাবলে খালেদা জিয়া এ ট্রাস্ট গঠন করেন নি। এটা কোনো পাবলিক নয়, একটা প্রাইভেট ট্রাস্ট। এখানে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়নি।

এছাড়া প্রসিকিউশন তো স্বীকার করেই নিয়েছেন যে, এ মামলার তদন্তকালে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা কোনো সাক্ষী অভিযোগ করেন নি। মামলা তো এখানেই শেষ হতে পারে মাননীয় আদালত। এরপর আর এ মামলা চলতে পারে না। অবৈধ উৎসের সন্ধান না পেয়ে এ মামলা কেন নিয়ে এলেন। আপনারা উৎস খুঁজে পাচ্ছেন না, আবার আমরা বলছি দলীয় ফান্ড থেকে টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাও আপনারা বিশ্বাস করছেন না। তাহলে অর্থের অবৈধ উৎস কি? তা প্রসিকিউশনকেই প্রমাণ করতে হবে। ওনাদের মুখের কথায় তো এ মামলা টিকে থাকতে পারে না।  

এর আগে বৃহস্পতিবার  (০১ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টায় গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হয়ে ১১টা ২৩ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া এবং সাড়ে ১১টায় মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন রাজধানীর বকশীবাজার কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক ড. আক্তারুজ্জামান।  

**আদালত মুলতবি, পরবর্তী শুনানি ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।