ঢাকা, সোমবার, ২ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ মার্চ ২০২৫, ১৬ রমজান ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সংস্কারের কথা বলে অযথা সময় নষ্ট করছে অন্তর্বর্তী সরকার’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৫
‘সংস্কারের কথা বলে অযথা সময় নষ্ট করছে অন্তর্বর্তী সরকার’ বক্তব্য দিচ্ছেন এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু

নাটোর: সংস্কারের কথা বলে অযথা সময় নষ্ট করছে অন্তর্বর্তী সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।

তিনি বলেছেন, এখনও রাষ্ট্রের দৃশ্যমান কোনো সংস্কার করতে পারেনি।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্বকভাবে অবনতি হয়েছে। দেশে আইনের শাসন বাস্তবায়ন না হলে স্থিতিশীলতা আসবে না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো ভাবেই স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়। তাই দেশের প্রয়োজনীয় সব সংস্কার দ্রুত করার জন্যই দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি।

রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার দীঘাপতিয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এ কথা বলেন।  

দিঘাপাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, রাষ্ট্র সংস্কার হবে, সরকারি অফিস আদালতে ঘুষ দুর্নীতি কমবে কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। দেশে ঘুষ দুর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর পর থেকে তাদের নেতা-কর্মীদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। যেকোনো ভাবেই হোক তারা বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তারা যে কোনো মূল্যে দেশে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করে এ সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করে সুবিধা নিতে চায়। আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের সব ষড়যন্ত্র সর্ম্পকে দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। তাদের ১৬ বছরের জুলুম দুঃশাসন ভুলে গেলে চলবে না।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনার সাহেব প্রস্তুত আছেন, কিন্তু সরকার নির্দেশ দিচ্ছেন না। আমরা বলতে চাই, দয়া করে নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করবেন না। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না, কারণ যেভাবে ওয়ান ইলেভেনের সরকার ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন একেবারে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। তারা আর দেশে আসতে পারেন না। আমরা সেই পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, আপনাদের কাছে দেশের জনগণের অনেক প্রত্যাশা আছে। গত ৫ আগস্ট এ দেশের মানুষ, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য যে সংগ্রাম ছিল, সেই অর্জন যেন বৃথা না যায়।

অন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, জিল্লুর রহমান খান চৌধুরী ওরফে বাবুল চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন তুষার প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৫ 
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।