ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ শাবান ১৪৪৬

রাজনীতি

এ টি এম আজহারের মুক্তি চাইলেন জামায়াতে আমির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
এ টি এম আজহারের মুক্তি চাইলেন জামায়াতে আমির সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: ডি এইচ বাদল

ঢাকা: সব বৈষম্যের কবর রচনা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, দয়া করে আমাদের কেউ আর চোখ রাঙাবেন না।

ফ্যাসিবাদের ভাষায় কথা বলবেন না।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সরকারের সর্বপ্রথম আঘাত আসে জামায়াতে ইসলামীর ওপর। একে একে দলটির শীর্ষ নেতাদের অন্যায়ভাবে জেলে ঢোকানো হলো। তার অংশ হিসেবে গত ১৩ বছর এ টি এম আজহারুল ইসলাম জুলুমের শিকার হয়েছেন। জুলুমবাজ সরকার বিদায় নিয়েছে আজহারুল ইসলামকে এখনো মুক্তি দেওয়া হয়নি। আমরা সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই কবে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন দীর্ঘ হবে।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। এক এক করে মজলুমদের যেভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে একইভাবে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে কেও মুক্ত দিতে হবে। তিনি আর এক মিনিটও জেলে থাকুক আমরা সেটা চাই না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ভদ্রতাকে যেন দুর্বলতা মনে না করেন। ভদ্রতা যখন শক্ত হয়, তা কেমন হয় দেশের জনগণ সাড়ে ১৫ বছর পরে টের পেয়েছেন। জীবন দিয়েছি কিন্তু জামায়াতে ইসলামী কোনো কুশক্তির সঙ্গে আপস করেনি।

শফিকুর রহমান বলেন, কেন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন আটকে রেখেছেন। সেটা তো জালিম সরকার কেড়ে নিয়েছিল। এ জালিম সরকার পালিয়ে গেছে। এখনই নিবন্ধন ফিরিয়ে দিন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি সেলিম উদ্দিন, ছাত্র শিবির সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫
টিএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।