ময়মনসিংহ: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই। নির্বাচনের জন্য যেমনি সংস্কার দরকার, তেমনি সংস্কারের জন্যও নির্বাচন দরকার।
তিনি বলেন, সংস্কার ও নির্বাচনকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ঈদের পরে দেশের জনগণ নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ জানতে চায়। সেই রোডম্যাপ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে কাজ করবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরের সি কে ঘোষ রোডে একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল পূর্ব এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ময়মনসিংহ জেলা গণসংহতি আন্দোলন এই আলোচনা সভা আয়োজন করে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, জুলাই-আগস্টসহ গত ১৫ বছরে যত গুম, খুন ও নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেটির জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও শেখ হাসিনাসহ যারা দায়ী, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, দল হিসেবে এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগের দায় কতটা, সেটাও বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেজন্য আইন প্রণয়ন করতে হবে। এর ওপর নির্ভর করবে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, আমরা দেখছি সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। এই অস্থিরতার উদ্দেশ্যে কী? আমরা প্রত্যেক পক্ষকে আহবান জানাই, যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলছে সেটি যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এমন কোন ভূমিকা নেওয়া ঠিক হবে না, যেন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়। কেউ কারো ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার বদলের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এটি জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে করতে হবে। না হলের ভেতরের শত্রুরা সুযোগ পাবে।
দেশের অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা মানে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা উল্লেখ করে করে জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, সবাইকে ঐক্য বজায়ে রাখতে হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। ফ্যাসিস্টের পলিসি ছিল দেশের জনগণকে বিভাজন করা। ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা মানে পুরোনো ফ্যাসিবাদের কায়দা-কানুনকে জাগিয়ে দেওয়া।
সভায় গণসংহতি আন্দোলন ময়মনসিংহের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব এআরএম মুসাদ্দিক আসিফের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
আরএইচ