ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ শাবান ১৪৪৬

রাজনীতি

সংস্কারের নামে টালবাহানা চাই না: আব্দুল আউয়াল মিন্টু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
সংস্কারের নামে টালবাহানা চাই না: আব্দুল আউয়াল মিন্টু বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

চাঁদপুর: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

আমরা চাই অতিদ্রুত আপনারা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন। সংস্কার সংস্কার নামে বিলম্ব করবেন না। সংস্কারের নামে টালবাহানা চাই না।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে। এতে যারা বিজয়ী হবেন, তাদের বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকবে না। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন, এটিকে আমরা মনে করি ষড়যন্ত্র। যারা এ ষড়যন্ত্র করে তাদের গণতান্ত্রিকভাবে কড়া জবাব দিতে হবে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা একটি গণতান্ত্রিক সরকার চাই।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটি উদার গণতান্ত্রিক দল হিসেবে পরিচিত। বিগত ১৫ বছরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বহু নির্যাতন, জুলুম, হামলা-মামলা, গুমের শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকার একেবারে গ্রাম থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে প্রায় ৬০ হাজার মামলা করেছে। খুবই কষ্টের মধ্যে নেতা-কর্মীদের বিগত বছরগুলো অতিবাহিত হয়েছে।

আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। যতদিন দাবি পূরণ না হবে, আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে। আমাদের নেত্রী অসুস্থ অবস্থায় লন্ডনে আছেন। দ্রুত সুস্থ হয়ে তিনি দেশে ফিরে আসবেন।

তিনি আরও বলেন, দেশের প্রত্যেকটি শহরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। এটিসহ অন্যান্য কারণে দেশজুড়ে এ ধরনের জনসমাবেশ হচ্ছে। যখন নির্বাচন হবে, প্রতিটি ভাই-বোন একসঙ্গে কাজ করবো। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির (কুমিল্লা বিভাগ) সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া।

বক্তব্য দেন- ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান আবু তাহের, ফরিদগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদা বেগম হীরা।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিম উল্ল্যাহ সেলিম, সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক শাহজালাল মিশন, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন খান, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আক্তার হোসেন মাঝি ও সদস্য সচিব হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন খান বাবুল, আব্দুস শুক্কুর পাটওয়ারী, দেওয়ান শফিকুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুনীর চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক সেলিমুস সালাম, জহির উদ্দিন বাবর ও আফজাল হোসেন প্রমুখ।

জনসমাবেশে জেলা বিএনপি, আট উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বহু নেতা-কর্মী অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।