ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেওয়া ফাতেমার বাড়িতে প্রতি মাসে বাজার দেন তারেক রহমান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৪
মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেওয়া ফাতেমার বাড়িতে প্রতি মাসে বাজার দেন তারেক রহমান

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় নিহত মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেওয়া ফাতেমার পরিবারে প্রতি মাসে বাজার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।  

এতে খুশি পরিবারের সদস্যরা তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

 

প্রতি মাসের মতো বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের রায়মনি গ্রামে ফাতেমার দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের কাছে মাসিক বাজার পৌঁছে দেওয়া হয়।  

ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নাইমুল করিম লুইন প্রতিনিধি হিসেবে প্রতি মাসে ফাতেমাদের বাড়িতে বাজার পৌঁছে দেন।  

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাইমুল করিম লুইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি আরও জানান, বিগত দুই বছর তিন মাস ধরে পরিবারটির কাছে নিয়মিত মাসিক বাজার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বাজারের মধ্যে রয়েছে- চাল, ডাল, আটা, মাছ, মাংস, মুড়ি, সেমাই, বিস্কুট, লবণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সামগ্রী।  

খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে শিশু ফাতেমার দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আমার ছেলে, পুত্রবধূ ও এক নাতি নিহত হওয়ার পর থেকে তারেক রহমান সাহেব নিয়মিত আমাদের পরিবারকে মাসিক বাজার সদাই দিচ্ছেন। এতে আমরা অনেক খুশি, তিনি আমাদের মনে রেখেছেন।  

ফাতেমা কেমন আছে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ফাতেমা ঢাকার আজিমপুর ছোট্টমনি নিবাসে ভালো আছে। সেখানে সরকারিভাবে তার দেখভাল করা হচ্ছে। আমরা প্রতি মাসে একবার গিয়ে তাকে দেখে আসি।

২০২২ সালের ১৬ জুলাই ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগম ও ছয় বছরের শিশুকন্যা সানজিদাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছ থেকে ফিরছিলেন। পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় হঠাৎ বেপরোয়া একটি ট্রাক তাদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। এসময় মৃত রত্নার পেট ফেটে জন্ম নেয় ফাতেমা। ঘটনাটিতে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে ফাতেমা পরিবারের দায়িত্ব নেন তারেক রহমান। সেই থেকে এ পরিবারটিকে প্রতি মাসের বাজার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে দলটির পক্ষ থেকে। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিল এ দম্পতির বড় মেয়ে ১০ বছর বয়সী জান্নাত ও সাত বছর বয়সী ছেলে এবাদত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।