ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পিস্তল নিয়ে ধস্তাধস্তি

জাপা নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩
জাপা নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বরিশাল: জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল জেলার আহ্বায়ক সিটি কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট এ কে এম মুরতজা আবেদীনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ কে এম মোস্তফা লিখিত বক্তব্যে বলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পরপর পাঁচ বার নির্বাচিত কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট এ কে এম মুরতজা আবেদীন। তার ওপর সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) শ্রমিক লীগ বরিশাল মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহম্মেদ মান্না ও তার সহযোগীরা পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে মুরতজা আবেদীনের লাইসেন্স করা পিস্তল ছিনতাই করতে অপপ্রয়াস চালায় যা ভিডিওতে পরিষ্কার।  

মুরতজা আবেদীনের ওপর পূর্বপরিকল্পিত হামলা করার পরও মান্না মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রশাসনসহ বরিশাল বাসীকে বিভ্রান্ত করেছে।

মান্নাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় মুরতজা আবেদীন বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড সেটেলমেন্ট অফিস থেকে অফিসিয়াল কাজ শেষে রাস্তায় বের হলেই পরিকল্পিতভাবে মান্না তার বাহিনী নিয়ে রাস্তার ওপর প্রকাশ্য দিবালোকে অশালীন ভাষায় গালাগালি করে। পরবর্তীতে অতর্কিত হামলা চালায় পেছন থেকে গলা জাপটে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যাচেষ্টা চালায়। সেইসঙ্গে মুরতজার বৈধ লাইসেন্সকৃত পিস্তল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে মান্নাসহ তার ২০/২৫ জন সহযোগী। অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে না পেরে সন্ত্রাসী মান্না ও তার সহযোগীরা মুরতজাকে অস্ত্র ধরে রেখে গুলির নাটক সাজায় এবং পুলিশকে ফোন করে থানায় সোপর্দ করে।

এ কে এম মোস্তফা বলেন, ওই ঘটনায় অ্যাডভোকেট এ কে এম মুরতজা আবেদীনের মোবাইলসহ পোর্ট রোডের সিসিটিভি ফুটেজ থেকেই প্রকৃত ঘটনা পাওয়া যাবে। গতকালকের ঘটনায় বরিশালসহ পুরো দেশবাসী এরই মধ্যে সত্যটা জানতে পেরেছে। কিন্তু অপরাধীরা এখনও বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করছে, এদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে মুরতজার মতো আগামীতে আপনি, বা আমরা তাদের শিকার, তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিক কেন্দ্রীয় নেতারা জানতে পেরেছেন। তারা এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আমরা এরই মধ্যে মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও নিয়েছি। কিন্তু গতকাল থানা পুলিশ আমাদের পক্ষ থেকে মামলার কথা বলা হলেও তা নেয়নি।

মুরতজার ওপর হামলাকারী বরিশাল মহানগর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহম্মেদ মান্না সহ তার সহযোগীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাই। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে জাতীয় পার্টি পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে এদের প্রতিহত করবে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির নেতা বশির আহম্মেদ ঝুনু বলেন, পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করছে কিনা সেটা বলছি না। তবে তারা গতকাল মামলা নেয়নি। এমনকি মুরতজার লাইসেন্স করা পিস্তল রেখে দিয়ে তাকে নিরাপত্তাহীনভাবে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমরা আশা করেছিলাম তার নিরাপত্তার জন্য বাড়ি পর্যন্ত পুলিশ যাবে। আমরা এখন আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক ও বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে শ্রমিকলীগ বরিশাল মহানগরের সাধারণ সম্পাদক রইজ আহম্মেদ মান্না বলেন, মুরতজা আবেদীন মিথ্যা কথা বলছে, আমি অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে যাইনি, সে অস্ত্রের টিগারে হাতের আঙুল দেওয়া ছিল যা ছবিতে স্পষ্ট। যদি তার অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পরিস্থিতি হতো তাহলে আমি বলতাম না অস্ত্রটা পুলিশের হাতে দে। যা ওখানে শত শত লোকের মধ্যে বলেছি এবং ভিডিওতেও প্রমাণ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩ 
এমএস/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।