ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে এই মিথ্যা দাবি করে আসছে: এলজিআরডি মন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে এই মিথ্যা দাবি করে আসছে: এলজিআরডি মন্ত্রী

ঢাকা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া স্বাধীনতার ঘোষণা কীভাবে আইনসিদ্ধ হতে পারে? এটি শুধু আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের ঘৃণ্য বিকৃতি নয়, বাস্তবতা বিবর্জিত দাবি। অথচ এরকম একটি মিথ্যা দাবি বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে বাঙালি জাতিকে দ্বিধা বিভক্ত ও বিভ্রান্ত করার জন্য।

বুধবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় ওয়াসা ভবন বুড়িগঙ্গা হলে জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজনে ঢাকা ওয়াসা শ্রমিক ইউনিয়ন।

তাজুল ইসলাম বলেন, বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা ধাপে এই সংগ্রাম এগিয়ে চলে যার প্রতিটি ধাপে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৫৪ যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন, ৬৬ ছয় দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং সবশেষে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ প্রতিটি স্তরেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন অপরিহার্য। এই দীর্ঘপথ পরিক্রমায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বিএনপির আমলে কৃষক সারের জন্য আন্দোলন করে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করে মানুষ নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৬০০ মেগাওয়াট যা পাঁচ বছরের মাথায় তিনি ৪৩০০ মেগাওয়াটে উত্তীর্ণ করেন। আর বর্তমানে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে দেশের অর্থনীতি থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।  

তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন মাথাপিছু আয় ছিল ৭০০ ডলার। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২৮০০ ডলারের অধিক হয়েছে। যারা চোখ থাকতেও অন্ধ তাদের কেউ দেখাতে পারে না।  

জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, আইএমএফ থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করলেও বিএনপি নেতৃবৃন্দ অন্ধকারে সরকারের ব্যর্থতা খুঁজে বেড়ায় বলেও জানান মন্ত্রী।  

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ নানা ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, পরিকল্পিতভাবে খুনিরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়ার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশে এগিয়েও যাচ্ছে।  

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আমরা যে যে সেক্টরে কাজ করি সেই জায়গায় থেকে আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্তিশালী হবে।

আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মো. আশকার ইবনে শায়েখ খাজা, এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ওয়াসা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি তাছাদ্দুক হুসেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২৩
এমএমআই/ এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।