ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ড. ইউনূস সারা পৃথিবীকে বোকা বানিয়েছেন’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
‘ড. ইউনূস সারা পৃথিবীকে বোকা বানিয়েছেন’

 চাঁদপুর: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীকে বোকা বানিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছেন। এদেশের অসংখ্য মানুষসহ পুরো পৃথিবী এতদিন জেনে আসছিল যে, ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা।

অথচ গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিল বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৩ সালে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে।

তিান আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এটি কেবল একটি ব্যাংকই নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ যার সাংবিধানিক নাম 'সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ'। ড. ইউনূস এ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত ও বেতনভুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। অথচ তাকে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেই নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব বাংলাদেশ সরকারের। বাংলাদেশকে বঞ্চিত করে এ কৃতিত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সেলিম মাহমুদ বলেন, জাতির পিতার নির্দেশনায় ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের গণপরিষদ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সংবিধানের দ্বিতীয় অধ্যায়ে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি গ্রহণ করেছিল। ১৯৭২ সালে জাতির পিতা গ্রামীণ জনপদে বিদ্যুতায়ন, শিল্পায়ন, ব্যাংক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার আলোকেই ১৯৮৩ সালে অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আওয়ামী লীগ এবং সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদের পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব  হোসেন চৌধুরী সোহাগ, কচুয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আলম স্বপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান হাতেম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলম, ৬ নং উত্তর কচুয়া  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার হোসেন, ৪ নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিব মজুমদার জয়, ১ নং সাচার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হোসেন, ১২ নং আশ্রাফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল মাওলা হেলাল, ৭ নং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটন, পালাখাল মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহাদ গাজী ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, ৩ নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কবির হোসেন মজুমদার ও চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপ-সম্পাদক মোতালেব হোসেন।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন-জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোৎস্না আক্তার, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  ডা. মাসুদ বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু অনুপ কান্তি দাস ও নজরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাইনুল ইসলাম সবুজ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সোহাগ মজুমদার, সদস্য শাহ আলম প্রধান, উপজেলা যুবলীগের সব ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক, কচুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সরকার সব যুগ্ম আহ্বায়ক, সব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক, চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়করা, কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়করা,  কচুয়া পৌরসভা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়করা।

আরও বক্তব্য দেন- সেন্ট্রাল ওমেনস কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, সিং আড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র, ১১ নং দক্ষিণ গোহট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামাল পাশা কাজল ও পূর্ণ চন্দ্র ভৌমিক, সাবেক উপজেলার ছাত্রনেতা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আখতার হোসেন রানা ও হরিপদ মজুমদার, ১০নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা বিজন সরকার, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম আবুল হাসানাত আজাদ, শিক্ষক নেতা রুমি বাগদাদী ও আওয়ামী লীগ নেতা সোহাগ মিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।