ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধিনেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
‘গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধিনেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব’

ঢাকা: গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রমাণ করেছে দলীয় সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীদলীয় নেতার মূখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদ।   

তিনি বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের অজুহাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিদারদের মুখে চুনকালি দিয়ে গাজীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

তাহলে কি প্রমাণ করে? গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য দরকার নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন এবং স্বদিচ্ছা।  

শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে সিলেট নগরীর ‘হোটেল গার্ডেন ইন ভিআইপির’ বলরুমে অনুষ্ঠিত জাপার সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সমন্বয় কমিটির প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মামুন বলেন, ভুলে যান কেনো, মাগুরার উপ-নির্বাচনে তৎকালীন বিএনপি সরকারের নিলর্জ্জ সদিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল। কি হয়েছিল সেদিন, আমরা কি ভুলে গেছি? 

তিনি বলেন, তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ সাহেব সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়ে দুঃখ প্রকাশ করে মাগুরা ছেড়ে এসেছিলেন। সুতরাং মাগুরার নির্বাচনকারীদের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানায় না। তাদের হাতে যেমন দেশ নিরাপদ নয়, তেমনি গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিরাপদ নয়।  

তিনি বলেন, বলার অপেক্ষা রাখে না, নিঃসন্দেহে গাজীপুরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে আর কি প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে? 

বিরোধীদলীয় নেতার মূখপাত্র আরও বলেন, গাজীপুরে জাতীয় পার্টির প্রায় এক লাখ ভোট ব্যাংক রয়েছে। বিগত নির্বাচনগুলো লাঙলের প্রার্থীরা তেমন ভোটই পেয়েছেন। তাহলে এবার লাঙলের প্রার্থীর জামানত হারানোর মানে জাতীয় পার্টির পরাজয় নয়, এটা জিএম কাদেরের পরাজয়।  

সিলেটে পার্টির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাজী মামুন বলেন, নির্বাচনে কে লাঙল প্রতীক পেলো, সেটা মূখ্য বিষয় নয়। লাঙলের মালিক এরশাদ-রওশন এরশাদ। তৃণমূলের লাখ লাখ নেতাকর্মীরা লাঙলের উত্তরাধিকারী। সুতরাং জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান কাজী মামুনূর রশীদ।  

সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক ও দশম জাতীয় সম্মেলনের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও দশম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য পীরজাদা জুবায়ের আহমদ, জাপা নেতা অ্যাডভোকেট আবু সালেহ চৌধুরী, ইশরাকুল হোসেন শামীম, মুজিবুর রহমান ডালিম, মুরাদ আহমেদ, মো. কাইয়ুমসহ সিলেট বিভাগের শীর্ষ নেতারা।  

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য শাহ জামাল রানা, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হেলাল, সৈয়দ মোকাব্বের, ইসরাফিল হোসেন মিয়া, মো. ফিরোজ খান, সোলাইমান মজুমদার ও আব্দুল আজিজ।  

বাংলাদেশ সময়:  ২১৫৭ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
এসএমএকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।