ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বেছে বেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে: প্রিন্স

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
বেছে বেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে: প্রিন্স

ঢাকা: রক্ত পিপাসু সরকার রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছে মন্তব্য করে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যার পর বেছে বেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে নেতাকর্মীদের।

 

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ‌

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, তেল-গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে আগে ১৫ জন নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। আজ দেশের সব জেলা ও মহানগরে (ঢাকা ও রংপুর ব্যতিত) বিএনপির পূর্ব ঘোষিত শান্তিপূর্ণ গণমিছিল কর্মসূচিতে মারধর ও গুলি করে হত্যা করেছে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিনকে। স্থানীয় ওসির নির্দেশে পুলিশ বিএনপির মিছিলে গুলি করে হত্যা করে ও বেধড়ক লাঠিপেটা করে। পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান বাবুসহ আরও অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। পুলিশ এখনও আরেফিনের লাশ ঘিরে রেখেছে। পরিবার ও নেতাকর্মীদের কাছে লাশ হস্তান্তর করছে না।

তিনি বলেন, শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে জনগণ অনুমান করেছিল আজ বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলা করা হবে। জনগণের অনুমানই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। পঞ্চগড়সহ অন্যান্য স্থানে হামলা, হত্যা, নির্যাতন পূর্ব পরিকল্পিত। দেশকে বিরোধীদল শূন্য করতে সরকারের নীল নকশার অংশ হিসেবেই পঞ্চগড়ের আব্দুর রশিদ আরেফিনকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার দায় সম্পূর্ণ সরকারের।  

প্রিন্স বলেন, পরিকল্পিতভাবে বিএনপির সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে সরকার।

সারাদেশে কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের গুলি, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের আহত করেছে বলে অভিযোগ করেন প্রিন্স। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় গণমিছিল চলাকালে অন্তত ৬০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাহাক সরকার, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
এমএইচ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।