ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়া একসূত্রে গাঁথা: ডা. ইরান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
মুক্তিযুদ্ধ ও জিয়া একসূত্রে গাঁথা: ডা. ইরান

ঢাকা: জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে কালুরঘাট থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিন্ন হতো মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ জিয়া একসূত্রে গাঁথা। আজকে যারা জিয়াকে অখ্যাত মেজর বলে তারাই কবি নজরুল ইসলামকে তুচ্ছ হাবিলদার বলেছেন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে গণহত্যা ও শেখ মুজিবকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে মুক্তিকামী জনগণ যখন সঠিক নেতৃত্ব ও নির্দেশনার অভাবে দিকভ্রান্ত ছিল, তখন শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা মুক্তিকামী কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতাকে সংগ্রামে সংগঠিত হওয়ার উৎসাহিত করেছে। সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে সাহসিকতার সঙ্গে পথ দেখিয়েছে। যারা শহীদ জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করে তারা স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে মেজর জলিল মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ জিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লেবাসে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্র ভোটাধিকার হরণ করেছে মন্তব্য করে ডা. ইরান বলেন, আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা শোভা পায় না। তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও বাস্তবে গণতন্ত্র হত্যা, ভোটাধিকার হরণ ও লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ উন্নয়নের গণতন্ত্রের কথা বলে মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি, লুটপাট ও বিদেশে পাচার করছে। ৭১ সালে বিজয় হলেও তা শুধুমাত্র পতাকা ও মানচিত্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। বর্তমান দলীয় সেবাদাস নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় বা স্থানীয় কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হচ্ছে না। একদলীয় নির্বাচন হওয়ায় জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছে, যা একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য অশনি সংকেত।

সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফারুক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন, ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, লেবার পার্টির আর্ন্তজাতিক সম্পাদক খোন্দকার কে এম ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হোসেন, যুবমিশন সদস্য সচিব সৈকত চৌধুরী, ছাত্রমিশন সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিফাত প্রমুখ।

সভায় জিয়াউর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।