ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত বাগেরহাট সদরের ২ চিকিৎসক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
যোগদানের পর থেকে অনুপস্থিত বাগেরহাট সদরের ২ চিকিৎসক

বাগেরহাট: যোগদানের পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন বাগেরহাট সদর হাসপাতালের দুই চিকিৎসক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার চিঠি ও ব্যক্তিগত যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া পায়নি ওই চিকিৎসকদের কাছ থেকে। এ অবস্থায় চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বিভাগীয় কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

অভিযুক্তরা হলেন- বাগেরহাট সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. কামরুন সাত্তার এবং জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিয়া) ডা. মনোয়ার হোসেন তালুকদার। ডা. কামরুন সাত্তার ২০১৮ সালের ৯ জুন এবং ডা. মনোয়ার হোসেন তালুকদার ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বাগেরহাট সদর হাসপাতালে যোগদান করেন।

যোগদান করার পরের দিন থেকে এ দুই চিকিৎসক অনুপস্থিত রয়েছেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে ওই দুই চিকিৎসককে কেন দণ্ড দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আপনি ২৫ নভেম্বর থেকে কর্মস্থলে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন। আপনার অনুপস্থিততি সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩ (গ) ধারা মোতাবেক যথাক্রমে অসাদাচরণ ও পলায়নের দায়ে অভিযুক্ত করা হল এবং কেন আপনাকে উক্ত বিধিমালার অধীনে দণ্ড দেওয়া হবে না- এ নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর কাছে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আপনি ব্যক্তিগত শুনানি চান কি না তাও জানাতে নির্দেশ দেওয়া হল।

১৭ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত ওই চিঠি অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক (এমআইএস), বাগেরহাটের সিভিল সার্জন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (শৃঙ্খলা) এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সিস্টেম অ্যানালিস্টকে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ওই চিঠি ২৭ জানুয়ারি এসে পৌঁছায়।

এদিকে ডা. মনোয়ার হোসেন তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। আমি অসুস্থ্য ছিলাম, সুস্থ্য হলে যোগদান করবো।

ডা. কামরুন সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, আমি ১৫ বছর ধরে কুমিল্লায় চাকরি করছি। হঠাৎ করে বাগেরহাটে বদলি করা হয়। বাগেরহাটে যোগদান করার পরেই আমি অসুস্থ্য হয়ে পড়ি। আমি সুস্থ্য হলে আবারো কর্মস্থলে যোগদান করব। বিষয়টি আমাদের সচিব স্যারের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছি।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জি. কে এম সামসুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ২৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে মাত্র ৮ জন চিকিৎসক উপস্থিত আছে। এরমধ্যে তিনজন ছুটিতে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।