ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নবম-দশম শ্রেণির ই-বুক উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৭
নবম-দশম শ্রেণির ই-বুক উদ্বোধন করলেন শিক্ষামন্ত্রী ই-লার্নিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ছবি: মুজিবুর

নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ই-বুক উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (০২ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ই-লার্নিং নামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

ঢাকা: নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ই-বুক উদ্বোধন করা হয়েছে।  সোমবার (০২ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ই-লার্নিং নামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠদান পদ্ধতি আরও উন্নত ও সহজতর করার জন্য আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। ডিজিটাল রিডিং ম্যাটেরিয়াল দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক ইন্টারঅ্যাকটিভ ই-বুকে রূপান্তর করা হয়েছে। এসব ই-লার্নিং রিসোর্স ও ই-ম্যানুয়েল প্রকাশের ফলে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে পাঠ নিতে পারবে এবং শিক্ষকরাও পাঠদানের জন্য ডিজিটাল মাধ্যমে একটি গাইডলাইন পাবেন।
 
টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট-২ (টিকিউআই-২) প্রকল্পের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সার্বিক নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে এথিকস অ্যাডভান্সড টেকনোলজি লিমিটেড (ইএটিএল) এই ডিজিটালকনটেন্ট তৈরি করেছে।  
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করছি। শিক্ষার মান রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়। শিক্ষার মান বাড়াতে নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক প্রয়োজন। পাঠদান পদ্ধতি উন্নত ও সহজ করা প্রয়োজন। পাঠ্যপুস্তক সহজবোধ্য ও সুখপাঠ্য করা এবং ক্লাসরুমের পরিবেশ আনন্দময় করাও প্রয়োজন।
 
তিনি বলেন, ৪০ হাজারের বেশি বিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে। পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার করে কম বিষয়ে পরীক্ষা নেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। পরিবর্তনের এ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।  

শিক্ষার মান উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেসব স্কুলে গণিত ও ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা পাস করত না, সেসব স্কুলে সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট’র (সেকায়েপ) মাধ্যমে অতিরিক্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ফলে, এসব স্কুলে পাসের হার বেড়েছে।
 
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো.আলমগীর, টিকিউআই প্রকল্পের সাবেক পরিচালক বনমালী ভৌমিক, এনসিটিবি‘র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা, টিকিউআই-২ এর প্রকল্প পরিচালক মো. জহির উদ্দিন বাবর, এডিবি‘র সিনিয়র সোসাল সেক্টর অফিসার এস এম এবাদুর রহমান এবং ইএটিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
পরে শিক্ষামন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ই-লার্নিং ও ই-ম্যানুয়েল উদ্বোধন করেন। এই ই-লার্নিং কনটেন্টে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, সাধারণ গণিত, ইংরেজি ও হিসাববিজ্ঞান বিষয়ের অনুশীলনগুলো পাওয়া যাবে। এনসিটিবি‘র ওয়েবসাইটে বিষয়গুলোর ই-কনটেন্ট পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৬ 
আরএম/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।