ঢাকা, সোমবার, ১০ চৈত্র ১৪৩১, ২৪ মার্চ ২০২৫, ২৩ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে কোটি টাকা চাঁদা দাবি, পুলিশের ফাঁদে ধরা ৫

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৫
ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে কোটি টাকা চাঁদা দাবি, পুলিশের ফাঁদে ধরা ৫

খুলনা: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী নুর আলমকে অপহরণের অভিযোগে খুলনা মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহাবুব হাসান পিয়ারু, জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা ইমন মোল্লাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

ইমন মোল্লা জাতীয় নাগরিক কমিটির মহানগর কমিটির সদস্য; পিয়ারু খুলনা মহানগর বিএনপির সদ্য সাবেক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন বলে জানা গেছে।

গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন- জিয়াউস সদাত, ইমনের সহযোগী জয় হাসান ও সাকিব রহমান।


শনিবার (২২মার্চ) দিবাগত রাতে নগরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যবসায়ী নুর আলমকে অপহরণের বিষয়টি তারা স্বীকার করার পর ভুক্তভোগীকে বসুপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. তৈমুর ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী নুর আলমের ছেলে খুলনার বসুপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। সেই সুবাদে নূর আলম খুলনায় অবস্থান করতেন। শুক্রবার রাতে ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। তাকে বসুপাড়ার একটি বাড়িতে রেখে ছেলের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। নুর আলমের ছেলে বিষয়টি গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়। পুলিশের পরিকল্পনায় অপহরণকারী দলের সদস্যরা মুক্তিপণ নিতে নগরীর ময়লাপোতা হোটেল গ্রান্ড প্লাসিডের সামনে এলে ইমন মোল্লাকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নগরের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে বাকিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলমকে উদ্ধার করে পুলিশ। নাগরিক কমিটির নেতা ইমনসহ সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
 
অপহরণকারীর কথোপকথন

ইমনদের গ্রেপ্তারের আগে পুলিশের পাতা ফাঁদ থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন পাওয়া গেছে। যেখানে আসামিদের একজন নিজেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা পরিচয় দেন। তিনি অপহৃত নুর আলমের ছেলের মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে এক কোটি (কোটি উল্লেখ না করে শুধুমাত্র এক উচ্চারণ করা হয়) টাকা চাঁদা দাবি করেন। ওই ব্যক্তি বলেন, শোনো আমি বলি তোমাকে, গতকাল তো তোমাকে একটা কথা আমি বলে আসছিলাম তাই না? আমি একের কথা বলছিলাম। এ ঘটনা তো আমি ঘটাইনি। নিশ্চয়ই এর ওপরে আরও কেউ না কেউ আছে। এটা তো বোঝো তোমরা। বা কারো না কারো সিদ্ধান্তে এটা হচ্ছে। এটা যদি না বোঝো তাহলে তো বোকামি হবে। ঢাকার লোকজন এর সঙ্গে ইনভল্ভ। এখন আমি বলি, গতকালকে আমি তোমাকে বলে আসছি হার্ডভাবে যে, একের নিচে এখানে কোনো সমাধান হবে না। তারপরেও আজকে তোমাদের সার্বিক অবস্থা দেখে আমি ফাইট দিয়েছি, কথা বলেছি, আমি আমার জায়গা থেকে ফাইট দিয়ে বলেছি এক কোনোভাবে সম্ভব না। ফিফটি দিতে হবে।

এভাবে ছয় মিনিট ৫০ সেকেন্ডের কথায় চাঁদাবাজির পুরো চিত্র ফুটে ওঠে। চক্রটির সঙ্গে ৩০ জন সদস্য রয়েছে বলেও কথোপকথন থেকে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২৫
এমআরএম/এমজে

 

 
 

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।